• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী: গবেষণা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২, ০৯:০০ পিএম
টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী: গবেষণা

দক্ষিণ এশিয়া থেকে উদ্ভূত টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। গত তিন দশকে ২০০ বারের বেশি এই সীমানা অতিক্রম করেছে রোগটি। মানুষের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী এই সংক্রমণ ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। যা বিশ্বব্যাপী এখন হুমকি হয়ে রূপ নিচ্ছে।

সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট পরিচালিত এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। বুধবার প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে রোগটির সংক্রমণ কমলেও বিশ্বব্যাপী রয়ে গেছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ম্যাক্রোলাইডস ও কুইনোলোনকে দমাতে সক্ষম টাইফয়েডের নতুন ধরণ এস.থাইফির সংক্রমণ তীব্রভাবে বেড়েছে। এটি ঘন ঘন অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।

২০১৪ ও ২০১৯ সালের মধ্যে এস.থাইফি ধরণে আক্রান্ত ৩ হাজার ৪৮৯ ব্যক্তির উপর গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভাইরাসটিতে টাইফয়েড জ্বর হয়ে বার্ষিক ১ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে এই রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি, গবেষণায় এই দেশগুলোসহ ১১৩ বছরে ৭০ দেশে ছড়ানো ৪ হাজার ১৬৯টি নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়।

জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি পৃথক সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৯ সালে এইচআইভি ও ম্যালেরিয়ার চেয়ে টাইফয়েডে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বেশি । সাম্প্রতিক উদাহরণের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে তীব্রভাবে এই রোগ বৃদ্ধি।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক দলের প্রধান জেসন অ্যান্ড্রুজ বলেন, “গবেষণার ফলাফল সত্যিই উদ্বিগ্ন। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এসব দেশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এস.থাইফি ধরণের টাইফয়েড এখন বৈশ্বিক সংক্রমণের দিকে ঝুঁকছে। স্থানীয় সমস্যা হিসেবে না দেখে বৈশ্বিকভাবে টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণায় কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এর মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকা ও ওশেনিয়ার মতো স্থানীয় অঞ্চলের নমুনার অন্তর্ভুক্তি কম ছিল।

Link copied!