• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

উত্তর কোরিয়ায় অজ্ঞাত মহামারির হানা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম
উত্তর কোরিয়ায় অজ্ঞাত মহামারির হানা

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় দেখা দিয়েছে অজ্ঞাত অন্ত্রের মহামারি। এতে কোভিড-১৯ সংক্রমণে ধুঁকতে থাকা দেশটির স্বাস্থ্য খাত আরো চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে শনাক্ত হওয়া এই প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি ওষুধ সহায়তা পাঠিয়েছেন কিম জং-উন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এই প্রাদুর্ভাব অন্ত্রসম্পর্কীয় রোগ হিসেবে পরিচিত একিউট এন্টেরিক। এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। রোগটির ধরন নিয়েও কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এমন সময় নতুন এই প্রাদুর্ভাবের কথা জানানো হলো, যখন প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ সংক্রমণের ব্যাপকতা মোকাবিলা করছে উত্তর কোরিয়া। গত মাসে দেশটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

কেসিএনএ জানায়, এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের ব্যাপক ওপর জোর দিয়েছেন কিম। রোগটি ছড়িয়ে পড়া সম্পূর্ণভাবে রোধ করতে সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে নির্ভুল পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  হামারিসংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিম।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জীবাণু থেকে ‘একিউট এন্টেরিক’ রোগ ছড়ায়। দূষিত খাবার ও পানি, আক্রান্ত রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এলে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত প্রাণী কিংবা এর পরিবেশের সংস্পর্শে এলে জীবাণুর মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয়ের আন্তঃ-কোরিয়ান বিষয় পরিচালনাকারী এক কর্মকর্তা বলেন, এটিকে কলেরা বা টাইফয়েড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সরকার প্রাদুর্ভাব পর্যবেক্ষণ করছে।

গ্যাচন ইউনিভার্সিটি গিল মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ইওম জুং-সি রয়টার্সকে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রধান কৃষি অঞ্চল দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশের হাইজুতে। এতে দেশটি ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও ফসলের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম বলে মনে হচ্ছে, তবে মূল কাজটি হবে জল সরবরাহের উত্সকে জীবাণুমুক্ত করা। কারণ, এই রোগটি জলবাহিত।

এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উত্তর কোরিয়া বলছে, কোভিড সংক্রমণের ঢেউ কমে আসার লক্ষণ দেখা গেছে। তবে চলতি মাসের শুরুতে পিয়ংইয়ংয়ের করা এই দাবি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে বলেই তারা মনে করছে।

Link copied!