• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

যে লক্ষ্য অর্জনে শুরু হয় বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম
যে লক্ষ্য অর্জনে শুরু হয় বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ

প্রতিবছরের মতো এবারও ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্তন্যদান সপ্তাহ। বিশেষ এই সপ্তাহ পালনের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘‘Step up for  breastfeeding: Educate and support’. অর্থাত্ স্তন্যপানে পদক্ষেপ নিন: সচেতনা বাড়ান এবং সমর্থন করুন।‘

বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহব্যাপী পালন শুরু হয় ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিংঅ্যাকশন দ্বারা। বিশ্বের  ১২০টি দেশ এখন এই বিশেষ সপ্তাহটি পালন করে।

১৯৯০ সালে বিশ্বব্যাপী এই বিশেষ সপ্তাহটি স্বীকৃতি পায়। শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক জরুরি তহবিল (ইউনিসেফ) স্তন্যপানের সুরক্ষা, প্রচার এবং সমর্থন করার জন্য ইনোসেন্টি ডিক্লারেশন নামে একটি স্মারকলিপি তৈরি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘ। ইনোসেন্টি ডিক্ল্যারেশন ছিল একটি আনুষ্ঠানিক নথি। যা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য গঠিত হয়।

মায়ের দুগ্ধপানের গুরুত্ব প্রচারে বিশেষ এই সপ্তাহটি পালনে ইনোসেন্টি ডিক্ল্যারেশন কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে। এর মধ্যে ছিল_

  • একটি জাতীয় স্তন্যপান কমিটি গঠন করা। বিশ্বের দেশগুলো জুড়ে একজন করে জাতীয় স্তন্যদানকারী সমন্বয়কারী নিয়োগ করা।
  • মাতৃত্বকালীন যত্ন অনুশীলন প্রচারের সুবিধার্থে এবং নারীরা যাতে তাদের সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় এবং নিজে সুস্থ থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • নারীদের বুকের দুধ খাওয়ানোর অধিকার রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা।
  • ব্রেস্ট মিল্ক সাবস্টিটিউটস এবং ডাব্লুএইচও রেজোলিউশনের আন্তর্জাতিক বিপণন সংস্থার সব  নিবন্ধ কার্যকর করার জন্য আইন প্রণয়ন করা।
  • নারীরা যেন শিশুর বয়স ৪–৬ মাস হওয়া পর্যন্ত একচেটিয়াভাবে বুকের দুধ খাওয়ায় সেই বিষয়ে  সক্ষম করে তোলা।

এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্তন্যপানের বিশেষ সপ্তাহটি পালনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে_

  • মায়েদের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে সর্বাত্তক সহায়তা, সহযোগিতা এবং উত্সাহিত করা।
  • স্তন্যপানের সুবিধার্থে শিশু–বান্ধব হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে।
  • মা, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং নিজেদের সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য বাবার ভূমিকাও রয়েছে। তাই মায়ের পাশাপাশি সন্তানের বাবাকেও গাইড করা ও সচেতন করা। 
  • বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের সুরক্ষা এবং সহায়তা জন্য আইন প্রণয়ন করা।

 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ-এর লক্ষ্য অর্জন

সেভ দ্য টিলড্রেন” এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ শিশুর জন্ম হয়। তবে এরমধ্যে ৬৫ শতাংশ মা ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান। ২০১১ সালে এই হার ছিল ৬৪ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার কমে দাড়ায় ৪৭ শতাংশে। পরে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মাতৃকালীন ছুটি ৬ মাস করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে এই হার বেড়ে দাড়ায় ৬৫ শতাংশে।

Link copied!