কনকনে শীতে হাসের মাংস খাওয়া হবে না তা কি হয়? তাছাড়া শীতের মৌসুমে হাঁসের মাংসের স্বাদও অন্যরকম হয়। শীতে হাঁসের মাংস জনপ্রিয় হওয়ার আরও একটি কারণ হলো, এটি খেলে শরীর উষ্ণ থাকে। এর পেছনেও রয়েছে যথেষ্ট কারণ।
হাঁসের মাংসে প্রোটিন, ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। আরও রয়েছে সেলেনিয়াম, আয়রন, নিয়াসিনসহ আরও অনেক খনিজ পদার্থ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরুর মাংসের চেয়ে হাঁসের মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি। এই চর্বির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল।
খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম। হাঁসের মাংসে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণও অনেক। তাই হাঁসের মাংস নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। হাসের মাংস খেলে শরীরও উষ্ণ রাখার পেছনে এই ফ্যাটি অ্যাসিডই দায়ি।
হাঁসের মাংস শরীরের মাংসপেশি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, ত্বক ও চুল ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে এটি। এবং দেহে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম।
হাঁসের চর্বি লিনোলিক অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস। তবে যদি একসঙ্গে বেশি পরিমাণে এই মাংস খাওয়া হয়, তাহলে সেটি নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কারণ এত চর্বিসমৃদ্ধ খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যাদের হৃদ্রোগের মতো জটিল সমস্যা রয়েছে তাদের পরিমিতভাবে এটি খাওয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :