• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতকালে মন খারাপ হয় কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ০৫:৩৬ পিএম
শীতকালে মন খারাপ হয় কেন

বছরের অন্যান্য ঋতুর মতো শীতকালও কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত প্রকৃতির যেকোনো পরিবর্তন প্রাণীজগতের ওপর বেশ প্রভাব ফেলে। সেটি হোক শারীরিক, হোক মানসিক। শীতকাল তেমনই একটি ঋতু। অনেকটা হেমন্তের বাতাসের সঙ্গে মিলেই শীতের অনুভূতি টের পাওয়া যায়। 

শীত এলে কেমন যেন প্রাণ চঞ্চলতা কমে যেতে থাকে। ইচ্ছা করে গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে পারলেই আরাম পাওয়া যেত। কাজের গতি মন্থর হয়ে যায়। যদিও এই ঋতুতে নানান উৎসব-পার্বণ, বিয়ের আমেজ, আরও বিভিন্ন রকমের আনন্দ আয়োজন থাকে। থাকে বড়দিনের মতো বিশেষ উৎসব। 

এতসব উচ্ছাসের মধ্যেও মন চায় শুধু আলসেমি করতে। কখনো কখনো এত আলো, উৎসব, উদ্দীপনা থেকেও দূরে সরে থাকতে ইচ্ছা করে। এটির পেছনেও কারণ রয়েছে। 

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালীন এই মন খারাপকে বলা হয়, ‘উইন্টার ডিপ্রেশন’ অথবা ‘উইন্টার ব্লুজ’। শীতকালের এই মানসিক অবসাদকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়,  ‘সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার’। যে ঋতুতে সূর্যের আলোর প্রভাব কম থাকে, মূলত সেই সময় মানসিক অবসাদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। 

শীতকালে যেহেতু দিন ছোট হয় এবং রাত বড় দীর্ঘ থাকে, ফলে এই সময়টাতে মানুষ সূর্যের আলো কম পান। শীতকালে সারাদিন মেঘলা থাকে এবং খুব তাড়াতাড়ি সূর্যাস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে মন খারাপ জাঁকিয়ে বসে দ্রুত। সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার আসলে মস্তিষ্কের জৈব-রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। 

যেকোনো কাজে গতি কমে যায় এ সময়। ক্লান্তিভাব চলে আসে, অতিরিক্ত ঘুম পায়, খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে দ্রুত ওজনও বেড়ে যায়। সবকিছু থেকে আগ্রহ কমে যায়, চিন্তার জগতে ছেদ পড়ে। মূলত এই সব অনুভূতিই শীতকালীন অবসাদের অন্যতম উপসর্গ। 

যদি মনে করেন আপনি বা আপনার পরিবারের কোনো সদস্য, বন্ধু, প্রিয়জন অথবা  শীতকালীন অবসাদে ভুগছেন, তাহলে শুরু থেকেই কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

Link copied!