আমরা হয়ত অতটা খেয়াল করি না। তবে একটু মনোযোগ দিলেই বুঝতে পারবেন, অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালে ঘন ঘন ক্ষুধার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর পেছনে একটি রহস্য রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে বলা হয় উইন্টার ব্লুজ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সাধারণ একটি সমস্যা। আর এর পেছনের রহস্য হলো ঠান্ডা। অর্থাৎ, শীতের তাপমাত্রা ঠান্ডা বলে শরীর নিজেকে উষ্ণ রাখার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে। এছাড়া পর্যাপ্ত শক্তি বাড়ানোর জন্য শরীর উষ্ণ রাখতে হয়।
এর জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। ফলে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে। আর শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে ঘন ঘন ক্ষুধা পায়। তখন আমাদের খেয়ালই থাকে না যে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলছি। অনেক সময় মনে হয় পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরেও যেন তৃপ্তি হচ্ছে না।
আবার শীতে পানি পানের পরিমাণও কমে যায়। যা থেকে ডিহাইড্রেশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপে বাধা পড়ে। আর তখনই শরীর পানির অভাব পূরণ করতেই বেশি ক্ষুধার অনুভূতি দেয়।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, কমবেশি সবারই শীতকালীন অবসাদ হয়। এর কারণ সূর্যালোকের অভাব ও ঠান্ডা আবহাওয়া। এই শীতকালীন অবসাদ বা উইন্টার ব্লুজকে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার বলা হয়।
এই কারণেই বারবার ক্ষুধা পায় ও বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এর সমাধান হিসেবে চেষ্টা করতে হবে যতবারই খাওয়া হোক না কেন, পরিমাণে যেন খাবারটি কম থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :