থ্যালাসেমিয়া হলো, এমন একটি রোগ যা বংশগতভাবে বিস্তার লাভ করে। মানব দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অপর্যাপ্ত থাকা বা অস্বাভাবিক গঠন। থ্যালাসেমিয়ার ফলে বিপুল সংখ্যক লোহিত রক্তকণিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, রোগীর মধ্যে যা রক্তাল্পতার সৃষ্টি করে। এটি একটি জিনগত ব্যাধি। থ্যালাসেমিয়া ডিএনএর কোষগুলোর অভিযোজন এর কারণে ঘটে যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং এগুলো বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে প্রেরিত হয়।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ
- সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব হওয়া
- শরীর দুর্বল থাকা
- হার ভঙ্গুর থাকা
- ক্ষুধা না হওয়া
- ফ্যাকাশে অথবা হলুদ ত্বক
- জন্ডিস
- তলপেটে ফোলা ভাব
- গাঢ় প্রস্রাব হবে
- হৃদপিন্ডের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।
হিমোগ্লোবিনের গঠন প্রকৃতি নির্মাণে দুটি প্রোটিন জড়িত থাকে। উদাহরণস্বরূপ আলফা এবং বিটা প্রোটিন। থ্যালাসেমিয়ার প্রকারগুলো এই দুটি প্রোটিন এর ওপর নির্ভর করে। আলফা থ্যালাসেমিয়া মানে হলো, শরীরে আলফা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি রয়েছে এবং বিটা থ্যালাসেমিয়া তখন ঘটে যখন শরীরে বিটা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকে। থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :