বিভিন্ন আন্দোলন, দুর্যোগ বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন ঘাটতি বাড়ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য ছুটি ১৬ থেকে ২০ দিন কমিয়ে ৫৬ থেকে ৬০ দিনে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) বেগম বদরুন নাহার সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছুটি কমানোর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তবে মাউশির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো সম্মতি দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বিশেষ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
এর ফলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতে পারে না, যা শিক্ষার মান ও ধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলছে। এ কারণে ছুটি কিছুটা কমিয়ে শিক্ষার সময় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রস্তাবটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পর্যালোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে তা পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে গড়ে ৭৬ দিন ছুটি দেওয়া হয়।