• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খাওয়ার সময় কথা বললে কি হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
খাওয়ার সময় কথা বললে কি হয়
খাওয়ার সময় কথা বলা উচিত নয় । ছবি : সংগৃহীত

পরিবার, অফিস, দাওয়াত কিংবা আড্ডায় কয়েকজন একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করার অভ্যাস আমাদের অনেক দিনের। তাছাড়া একসঙ্গে খেতে বসলে কথা না বলে কি থাকা যায়! বেশিরভাগ মানুষেরই খাওয়ার সময় কথা বলার অভ্যাস রয়েছে। 

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এটিকে কিছুতেই সমর্থন করছেন না। কারণ যা-ই খাই না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাসও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার সময় কথা বলা উচিত নয়। কারণ, আমাদের দেহে খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী পাশাপাশি অবস্থানে থাকার কারণে, খাবার খাওয়ার সময় কথা বললে খাদ্যনালীতে খাবার না গিয়ে, শ্বাসনালীতে ঢুকে যেতে পারে। 

আর এতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনেক বেশি আশঙ্কাও থাকে। তাই খাওয়ার সময় কথা বলতে নিষেধ করা হয়। এছাড়া খাওয়ার সময় খাবারের দিকে মনোনিবেশ করা হলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হতে পারে। 
অনেকের আবার দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তাদের জন্য তো বিপদের আশঙ্কা অনেক। কেননা, এমনিতেই দ্রুত খাবার খান, তার ওপর কথা বললে একেবারে নাকেমুখেও উঠে যেতে পারে। ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। 

তাই খাওয়ার সময় খাবারেই মনোযোগ রাখা উচিত। কেউ কেউ আবার সারাদিন ব্যস্ততার পর খাওয়ার সময়ইটুকু সকলে একসঙ্গে কাটান। এবং খেতে বসে নানান গল্প জুড়ে দেন। এটি প্রয়োজনে খাওয়ার আগে বা পরে সেরে নিন। খাওয়ার মাঝে অন্তত কথা না বলার চেষ্টা করুন। তাতে খাবারের স্বাদটিও ভালোভাবে নিতে পারবেন। অনাকাঙ্খিত বিপদ থেকেও রক্ষা পাবেন।

যদি কখনও এ কাজটি করতে গিয়ে শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যায়, তাহলে প্রথমে কাশি দিয়ে খাবারের অংশ বের করার চেষ্টা করুন। সেটি সম্ভব না হলে কাউকে বলুন, পেছন থেকে হাত দিয়ে আপনার বুকের তলা চেপে ধরতে। তারপর চাপ দিতে বলুন। 

এর মাধ্যমে ফুসফুসে বায়ুর চাপ তৈরি হবে। এই চাপ খাবারের অংশকে বাইরে বের করে দেবে। ছোটদের ক্ষেত্রে উপুড় করে শুইয়ে দিয়ে পিঠে চাপ দিন বা বুকের তলায় চাপ দিতে পারেন। এভাবে কাজ না হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

Link copied!