এক শব্দের নাম ঘি বেশ লোভনীয় একটি খাদ্য। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। ঘি একদিকে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় তেমনি এতে থাকা নানা খাদ্যগুণ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। অন্যদিকে আবার অনেকে ভাবেন, ঘি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ঘি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসলে কোনটা সঠিক তথ্য। চলুন জেনে নিই-
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতে তৈরি খাঁটি ও দেশি ঘি-তে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারে। বাজারের কেনা ঘি-তে পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি বাড়িতে তৈরি ঘি-এর চাইতে অনেক কম। যদি সীমিত পরিমাণে ঘি খাওয়া হয়, তবে তা স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হতে পারে। একই সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
ঘি-তে উপস্থিত ফ্যাট- দ্রবণীয় ভিটামিন, ওজন কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত উদ্ভিজ্জ তেল হজম প্রক্রিয়াকে ধীরে করে দেয়। কিন্তু ঘি-তে উপস্থিত ফ্যাট হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। যাদের দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়, ঘি তাদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ, এতে ক্যাসিন এবং ল্যাকটোজ নেই। ঘিতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ফ্যাট কোষের সংকোচনকে উৎসাহিত করে।
ঘি প্রদাহ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। ঘি-এ বিউটেরিক অ্যাসিড এবং মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (এমসিটি) থাকে যা পেটের চর্বি বিপাক করতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে থাকা ১৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড এই হিসেব অনুযায়ী, দিনে দু`চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে। শুধু তাই নয়, এক চামচ ঘি থেকে যে ৪৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যা, তাও শরীরের দৈনিক চাহিদার মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে ঘি মানেই যে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, এমনটা নয়।
ঘি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সবজি রান্নার সময় ঘি ব্যবহার করা। ঘি-এর স্মোকিং পয়েন্ট অনেক বেশি হওয়ায় বিভিন্ন খাবার ভাজার জন্যও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। রুটির ওপর ছড়িয়ে দিয়ে বা গরম ভাতের সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন ঘি।