২০১৯ সালে ফ্লুমিনেন্সে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জোয়াও পেদ্রো। সেখানে আলো ছড়িয়েই ইউরোপে পাড়ি জমান তিনি। নিজের শৈশোবের ও স্বদেশী ক্লাবের বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেরা ঝলক দেখালেন জোয়াও পেদ্রো। তার জোড়া গোলে ফাইনালে চলে গেল চেলসি।
নিউ ইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে চেলসি জিতেছে ২-০ গোলে। ১৮ ও ৫৬ মিনিটে দুটি গোলই করেছেন পেদ্রো।
২০২০ সালে ফ্লুমিনেন্স ছেড়ে ইংলিশ ক্লাব ওয়াটফোর্ডে যোগ দেন পেদ্রো। ২০২৩ সাল থেকে তিনি খেলছিলেন ব্রাইটন অ্যান্ড হোভে। গত সপ্তাহে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন থেকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড (৭৯ মিলিয়ন ডলার) দিয়ে চেলসিতে যোগ দেন ২৩ বছর বয়সী জোয়াও পেদ্রো।
ছুটির মৌসুম সংক্ষিপ্ত করে তিনি পালমেইরাসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে অভিষেক করেন। এরপর সেমিফাইনালে লিয়াম ডেলাপের অনুপস্থিতিতে তাকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়, আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন পেদ্রো। ঝলক দেখিয়ে জানান দিলেন উজ্জ্বল আগামীর।
ম্যাচে নিজের দুটি গোল করার পর জোয়াও পেদ্রো কোনো উদযাপন করেননি। এর কারণ, এই ফ্লুমিনেন্স ক্লাবেই তার পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল। ফ্লুমিনেন্সের মূল দলের হয়ে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন।
এই হারের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টে ফ্লুমিনেন্সের চিত্তাকর্ষক যাত্রা শেষ হলো। ২০২৩ সালের কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী দলটি গ্রুপ পর্বে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে রুখে দিয়েছিল, শেষ ষোলোতে ইন্টার মিলানকে হারিয়েছিল এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির ঘাতক আল-হিলালকে বিদায় করেছিল। তাদের বিদায়ে এই টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আমেরিকান কোনো দলের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল।
ফ্লুমিনেন্সের কোচ রেনাতো পর্তালুপি তাদের দলকে টুর্নামেন্টের "কুৎসিত হাঁস" বলে বর্ণনা করেছিলেন, কারণ তাদের বাজেট এবং যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অন্য তিনটি দলের বাজেটের মধ্যে বিশাল পার্থক্য ছিল। ৪০ বছর বয়সী এবং চেলসির সাবেক সেন্টার-ব্যাক থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে খেলা ফ্লুমিনেন্সের জন্য শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচটি কঠিনতম ধাপ প্রমাণ হলো।
পেদ্রোর দুটি গোলই ছিলো দেখার মতন। ১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো বাঁকানো শটে বল জড়ান জালে। ৫৬ মিনিটে বল নিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে বক্সে ঢুকে আবার বুলেট গতিতে করেন গোল।