• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে যেসব উপকার পাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৩:২০ পিএম
শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে যেসব উপকার পাবেন
খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের ওপর হাঁটলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে । ছবি : সংগৃহীত

আজকাল মানুষের শরীরে রোগের শেষ নেই বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না। কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ। আর নাগরিক জীবনে পায়ের পেশি ব্যথা, হাড় ও রক্তনালির রোগসহ বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা তো রয়েছেই। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এসব রোগের ক্ষেত্রে খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা খুবই উপকারী।

রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে
শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে পায়ের পাতার কাছের রক্তনালিগুলো ঠান্ডা শিশিরের সংস্পর্শে উদ্দীপিত ও সংকুচিত হয়। এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় শরীরের রক্তনালিগুলোতে রক্তপ্রবাহে এক ধরনের উদ্দীপনা জাগে, নতুন প্রাণ পায় একঘেয়ে ভাবে ধুকপুক করে চলা হৃদযন্ত্রও। এই ঘাসে হাঁটালে হৃদরোগ, রক্ত ঘন হয়ে আসার প্রবণতা, রক্তনালিতে চর্বি জমা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

স্নায়ু ভালো রাখে
তাপমাত্রার তারতম্যের সঙ্গে সঙ্গে হাইড্রোথেরাপির মাধ্যমে আমাদের স্নায়ুগুলো তরতাজা হয়ে ওঠে যখন আমরা ভেজা ঘাসের শিশিরে পা রাখি। এ ছাড়া আমাদের স্নায়ুতন্ত্র জেগে ওঠে খালি পায়ে হাঁটলে। কারণ এতে প্রোপ্রিয়োসেপ্টিন জাগ্রত হয় বা যে স্থানে আমরা অবস্থান করছি তা সম্পর্কে দেহে সঠিক অনুভূতি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়।

পায়ের রক্তনালি ঠিক থাকে
পায়ের রক্তনালির ক্ষীণ পরিসঞ্চালনের জন্য শেষ বয়সে অনেকেই ভেরিকোস ভেইন্স বা ফ্ল্যাট ফুট রোগে ভুগে থাকেন। এর ফলে খুঁড়িয়ে হাঁটেন অনেকেই, পঙ্গু হয়ে যান কেউ কেউ। অথচ সকালে বাইরে গিয়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটার অভ্যাস থাকলে এই ভয়ংকর রোগগুলো থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। 

ডায়াবেটিস জনিত স্নায়ুতন্ত্রের জড়তাতেও এর কার্যকারিতা পাওয়া যায়। বেশির ভাগ গবেষকরা বলেন, সবুজ গাছগাছালি, মাঠ, ঘাসের দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বাড়ে। আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটার জুড়ি মেলা ভার।

মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো রাখে
আমাদের দেশে সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। মানসিক অবসাদ আমাদের গ্রাস করে চলেছে দিন দিন। আর নগরজীবনে এর প্রভাব ভয়ংকর রকমের বেশি। মানসিক কষ্ট এবং অসুখগুলো আমাদের শরীরকেও অসুস্থ করে তোলে। 

কখনও কখনও মানসিক সমস্যা আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপের দিকেও ধাবিত করে। সকালের রোদ শরীরে পড়লে খুবই কার্যকর সেরোটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যাকে মানসিক স্বাস্থ্যের ভাষায় ফিল গুড হরমোন বলা হয়।তখন মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। আর শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটাও অ্যান্টি ডিপ্রেশন হিসেবে কাজ করে।  

শহুরে জীবনে চট করে ঘাসের দেখা পাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে যদি ঘরের সামনে এক চিলতে উঠান থাকে সেখানে ঘাস লাগাতে পারেন। অথবা অ্যাপার্টমেন্ট এর সামনের সামান্য দুই ফুট জায়গাতেও সম্মিলিত উদ্যোগে ঘাস লাগিয়ে নেওয়া যায়। সম্ভব হলে ছাদের একটি অংশে মাটি ফেলে লাগিয়ে নিতেন পারেন সবুজ ঘাস। প্রতিদিন সকালে ঘাসের ওপর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটলে শরীর ও মন দুই-ই ভালো থাকবে। 

সূত্র: প্রথম আলো

Link copied!