• ঢাকা
  • রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ৮ সফর ১৪৪৬

ফ্লাইওভারের নাট-বল্টু খুলে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
ফ্লাইওভারের নাট-বল্টু খুলে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার। প্রতিবছর অন্তত একবার সার্বিক পরিস্থিতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা থাকলেও ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফ্লাইওভারটি সাত বছরে একবারও সেটি করা হয়নি। স্টিল গার্ডার থেকে নাট-বল্টু খুলে নেওয়াসহ ফ্লাইওভারের নিচে সবুজায়নের জন্য তৈরি করা নিরাপত্তা বেষ্টনীও চুরি হচ্ছে। 

২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত চার লেনের আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়।

এরপর ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চে। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটির মূল অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে জিইসি ও ষোলশহরের লুপ এবং র‌্যাম্পগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারসহ চারটি ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সিডিএর সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত ৮০ হাজার গাড়ি চলাচল করে এই ফ্লাইওভার দিয়ে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের গাইডলাইনে প্রতিবছর অন্তত একবার নিরীক্ষা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এদিকে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হলেও মরে যাচ্ছে ৯০ হাজার গাছ। 

সরেজমিনে ফ্লাইওভারে গিয়ে দেখা যায়, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক থেকে জিইসি মোড়ে ওঠানামার লুপ ও র‍্যাম্পের ২৯টি স্টিল গার্ডারের অনেকগুলো থেকে নাট-বল্টু খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।

এ ছাড়া নগরের শপিং কমপ্লেক্স থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত স্টিলের তৈরি নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে গেছে। মুরাদপুর অংশের বিভিন্ন এলাকায়ও নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। ২ নম্বর গেট ও নাসিরাবাদ এলাকায়ও নিরাপত্তা বেষ্টনী খুলে নেওয়া হয়েছে। পরিচর্যার অভাবে ফ্লাইওভারের নিচে সড়ক বিভাজকে লাগানো গাছগুলো মরে যাচ্ছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে শত শত বাতির পোল।

এসব স্থানে মাদকসেবী ও ভাসমান লোকজনের ভিড় থাকে। ফ্লাইওভারের ওপর থেকে বৈদ্যুতিক বাতিগুলো খুলে নিয়ে গেছে। ফ্লাইওভারে জমে আছে ময়লা, আটকে আছে বৃষ্টির পানি।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মাদকসেবীরা ফ্লাইওভারের নাট-বল্টু ও গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হবে।

Link copied!