• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাহির প্রচার কাজে বাধা, থানায় জিডি


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম
মাহির প্রচার কাজে বাধা, থানায় জিডি
মাহিয়া মাহি

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহির প্রচার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ার কথাও বলেছেন। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে গোদাগাড়ী থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে এই অভিযোগ করেছেন মাহি।

এদিন  রাত দেড়টার দিকে মাহিয়া মাহি নিজের হোয়াটস আপ গ্রুপে ভয়েস রেকর্ডে জানান, ভোটের মাঠে তাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন নৌকার সমর্থকেরা।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মাহিয়া মাহি বলেন, “দুই দিন আগে এক হাটে আমি গণসংযোগে যাই। অটোরিকশায় বসে থাকা এক নারী আমাকে ডাকেন। তিনি যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আমি এলাকার জন্য কী করেছি। করোনার সময় কী করেছি। সেই ভিডিও করে আবার ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

“আজকে (শুক্রবার রাতে) আবার গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। আমার বক্তব্যের মাঝখানে একজন এসে আবার একই কথা, ‘করোনার সময় কী করেছেন?’ আমি তখন বুঝতে পেরেছি এটা বলার নির্দেশনা আছে। এই কথা বলতে বলতে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সে বলে, এটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস। এই রাস্তায় আপনি গণসংযোগ করতে পারবেন না। আমি বলেছি, এটা সরকারি রাস্তা। কেন প্রচার কাজ করতে পারব না? আপনি আমাকে বাধা দিচ্ছেন।”

মাহি বলেন, “আমি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলি। তখন লোকজন সরি বলেছে। আমি বললাম, ঠিক আছে, সবার সামনে সরি বললে মাফ করে দেব। সে সরি বলবেই না। ফাইনালি সে সরি বলে। কিন্তু সবাই মিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করে।”

মাহি ভয়েস রেকর্ডে জানান, পরে তিনি ইউএনও-ওসিকে ফোন করে জানালে তারা আসেন। মাহি বলেন, “আমার কাছে তথ্য আছে যে আমি যেখানে যাব, সেখানে সাধারণ জনগণ সেজেই তারা একটা বিশৃঙ্খলা করবে। আগের জন নারী মহিলা লীগের নেত্রী, এই ছেলেটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। আমি ভীতসন্ত্রস্ত। কারণ, আর মাত্র কয়টা দিন আছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে কে কখন ঢুকে যাবে এবং বিশৃঙ্খলা করবে। তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, তারা যেন এদিকে খেয়াল রাখেন।”

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, “রাত ৯টার দিকে মাহিয়া মাহির ফোন পেয়ে আমি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখানে যাই। এরপর পরিস্থিতি শান্ত করে আসি। এ ঘটনায় রাতেই প্রার্থীর লোকজন মামলা করতে আসেন। তবে যে অভিযোগ, সেটা সরাসরি মামলা হয় না। এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!