বিশ্বের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শীর্ষে যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকে, তা হলো মিস ইউনিভার্স। প্রতি বছর কোটি দর্শকের চোখ থাকে এক সন্ধ্যার দিকে—যে মুহূর্তে একজন তরুণীর জীবন বদলে যায় চিরতরে। সম্মান ও খেতাবের পাশাপাশি বিজয়ী পান এমন কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা, যা তাঁকে এক বছরের জন্য রাজকীয় জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
বেতন: আড়াই লাখ ডলারের চেক
মিস ইউনিভার্স বিজয়ীর আনুষ্ঠানিক বেতন হিসেবে এক বছরের জন্য দেওয়া হয় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ কোটির বেশি।
নিউইয়র্কে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকা
বিজয়ীর এক বছরের ঠিকানা হয় নিউইয়র্ক সিটির একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। থাকা, খাওয়া, যাতায়াতসহ যাবতীয় ব্যয় বহন করে আয়োজন সংস্থা।
ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ভ্রমণ
মিস ইউনিভার্সকে এক বছরের জন্য দেওয়া হয় ব্যক্তিগত জেটে ভ্রমণের সুবিধা। বিশ্বজুড়ে যেকোনো দেশে সফরের অনুমতি মিললে সংগঠনই দেখাশোনা করে— হোটেল, খাবার, ফটোশুট, প্রেস মিটিং সবকিছুই থাকে তাদের দায়িত্বে। তবে শর্ত হলো—প্রতিটি সফরেই কিছু মানবিক বা দাতব্য কার্যক্রমে অংশ নিতে হয়।
ভিআইপি অতিথি হিসেবে বিশ্বজুড়ে উপস্থিতি
কনসার্ট, ফ্যাশন শো, অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান বা সিনেমার প্রিমিয়ার—সব জায়গায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিতে পারেন বিজয়ী। আয়োজন করে দেয় মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষই।
কোটি টাকার মুকুট
মিস ইউনিভার্সের মুকুট ইতিহাসে নয়বার বদলেছে। ২০২২ সালের ‘ফোর্স অব গুড’ মুকুটের মূল্য ছিল ৬৭ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালের ‘লুমিয়ের দে আফিনি’–তে ছিল দুর্লভ মুক্তা ও হীরকখণ্ড।
তবে বিজয়ী মুকুটটি স্থায়ীভাবে নিজের কাছে রাখতে পারেন না। বছর শেষে নতুন বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরানোর পর তাঁকে স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় ২০–২৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি রেপ্লিকা মুকুট।
সৌন্দর্যচর্চা থেকে পোশাক—সবই সংগঠনের দায়িত্ব
এক বছরের জন্য পোশাক, সাজসজ্জা, ফিটনেস, খাবার, স্টাইলিং—সবকিছুই পরিচালনা করে মিস ইউনিভার্স সংস্থা। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-মানবিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকে।
মিস ইউনিভার্সে বাংলাদেশ
এ বছর থাইল্যান্ডের ফুকেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। বিশ্বের ১২১ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। ইতোমধ্যে পিপলস চয়েজে শীর্ষে উঠে দারুণ আশা জাগিয়েছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।



































