• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুলপরীর পায়ে ধরে মাফ চাইলেন সেই ছাত্রলীগ নেত্রী


ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম
ফুলপরীর পায়ে ধরে মাফ চাইলেন সেই ছাত্রলীগ নেত্রী

র‌্যাগিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরীর কাছে হাতে-পায়ে ধরে মাফ চেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার শেষে এসব জানান ভুক্তভোগী ফুলপরী।

সাংবাদিকদের ফুলপরী বলেন, “কে কী করেছেন এ বিষয়ে ম্যাম-স্যাররা জানতে চাইলেন। আমি সেটা বলেছি এবং তাদের চিনিয়ে দিয়েছি।”

এ সময় অভিযুক্তরা কিছু বলেছেন কি না, জানতে চাইলে ফুলপরী বলেন, “হ্যাঁ বলেছেন। তারা বলছেন, ‘ফুলপরী, আমার সঙ্গে এ রকম করো না। তোমার হাতে-পায়ে ধরে মাফ চাই।’ অন্তরা (সানজিদা) আপু রিকোয়েস্ট করল। কিন্তু আমার সঙ্গে যা যা হয়েছে, সেটাতে আমি অটল ছিলাম।”

তদন্ত কমিটির ডাকে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির কঠোর নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ফুলপরী। পরে অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তার সহযোগী তাবাসসুম, ইসরাত জাহান মিম, হালিমা খাতুন উর্মি এবং মাওবিয়াসহ ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির সামনে মুখোমুখি সাক্ষৎকার দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ অন্যরা কেউই কোনো কথা বলেননি।

ফুলপরীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, “পাঁচজন কক্ষে প্রবেশ করার পর কমিটির সদস্যরা আমাকে বাইরে বের করে দেন। এ সময় ওই কক্ষে অভিযুক্ত সবাই ছিলেন। আর আমার মেয়ে একাই ছিলেন।”

দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যথাক্রমে হল কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যাল ও হাইকোর্টের নির্দেশে নিযুক্ত তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে দুপুর ১২টার দিকে ফুলপরীকে সরাসরি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নেওয়া হয়। ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ভুক্তভোগী এই ছাত্রী ১০ দিন পর তৃতীবারের মতো বাবার সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় তিনি এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হননি বলেও জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, “ভুক্তভোগীর নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎকার শেষে ক্যাম্পাস থেকে চলে গেছেন ভুক্তভোগী।”

জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা এবং তার সহযোগী তাবাসসুম, ইসরাত জাহান মিম, হালিমা খাতুন উর্মি এবং মাওবিয়াদের নেতৃত্বে ভুক্তভোগৗ ফুলপরীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে একপর্যায়ে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন তারা। এসময় তাদের মোবাইল ফোনে ঘটনাটি ভিডিও করেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

কাউকে র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে জানালে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হবে বলেও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!