টাঙ্গাইলের সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর উপজেলায় পৃথক অভিযানে মাদক ও নগদ টাকাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার পশ্চিম আকুর টাকুরপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৬ গ্রাম হেরোইনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন উপজেলার পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার মৃত কদম আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া ওরফে টাইগার ফিরোজ (৩০)। একই গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫১)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬ গ্রাম হেরোইন (যার মূল্য আনুমানিক ৬০ হাজার টাকা) এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৪২৫ পিস ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবির হোসেন (২২)। উপজেলার কালামজানি এলাকার ময়নাল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪২৫ পিস ইয়াবা (যার মূল্য আনুমানিক এক লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা) এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে নাগরপুর উপজেলার মাইলজানি গ্রামের অভিযান পরিচালনা করে জাল সরকারি রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগানোর ১৩ হাজার ৬৮০ প্যাকেট নিউ ডালিম বিড়িসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দেলদুয়ার উপজেলার মাইলজানি এলাকার সৈয়দ ইলিয়াস হোসেনের ছেলে সৈয়দ মিরাজ হোসেন ওরফে শুভ (৩২), মির্জাপুর উপজেলার পংমটং গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৪)। এসময় তাদের কাছ থেকে জাল সরকারি রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগানো ১৩ হাজার ৬৮০ প্যাকেট নিউ ডালিম বিড়ি এবং নগদ ৭ হাজার ৪০০ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি এরশাদুর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদক দ্রব্য ইয়াবা এবং হেরোইন অবৈধভাবে সংগ্রহ পূর্বক টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এবং সদর উপজেলাসহ অন্যান্য থানা এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে আসছে। বিভিন্ন মাদকসেবীদের কাছে তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাদক দ্রব্য ইয়াবা এবং হেরোইন সরবরাহ করে।
এছাড়াও সরকারকে ফাঁকি দিয়ে জাল সরকারি রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগিয়ে নিউ ডালিম বিড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে দেলদুয়ার, সদর ও নাগরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































