• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
কাতার বিশ্বকাপ

পেনাল্টি বাধায় স্প্যানিশদের টপকে কোয়ার্টারে মরক্কো


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ১১:৫১ পিএম
পেনাল্টি বাধায় স্প্যানিশদের টপকে কোয়ার্টারে মরক্কো

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ আফ্রিকান দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো মরক্কো। ২০১০ সালের পর প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে এই কীর্তি তাদের। কাতারে শেষ ষোলোর ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও মরক্কো-স্পেন ম্যাচে আসেনি কোনো গোল। ফলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে। সেখানে স্পেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মরক্কো। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো আফ্রিকার দেশটি।

১২০ মিনিটের ফুটবলীয় লড়াইয়ের পরিসমাপ্তিটা হতো একদম মুহূর্তে। পাবলো সারাবিয়ার নেওয়া শট গোলপোস্টে লেগে ফিরলে খেলা গড়ায়ে টাইব্রেকারে। ভাগ্য পরীক্ষায় একটি বারের জন্য মরক্কোর ইয়াসিন বেনোকে বোকা বানাতে পারেনি স্প্যানিশরা। ফলে রাউন্ড অব সিক্সটিনেই বেজেছে তাদের বিদায় ঘণ্টা।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন ও মরক্কো। দীর্ঘ ৩৬ বছর আগে নকআউট পর্বে উঠেছিল মরক্কো। ওটাই ছিল তাদের সেরা ফলাফল। এবার তা টপকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো তারা। চতুর্থ আফ্রিকান দেশ হিসেবে এই কীর্তি গড়েছে তারা। এখন তাদের সামনে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমি-ফাইনালে খেলা।

সর্বশেষ ২০১০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল কোনো আফ্রিকান দেশ। সেবার কোয়ার্টারে খেলেছিল ঘানা। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে উরুগুয়ের কাছে হেরে সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভাঙে ঘানার।

আগের ম্যাচের একাদশ থেকে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল স্পেন। শুরু থেকেই চেষ্টা ছিল বল ধরে রাখার। বেশ কয়েকবার বল পায়ে সুযোগও মিলেছিল। কিন্তু সেই সুযোগ গুলো কোনোভাবেই কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

ম্যাচের ১১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল মরক্কোর সামনে। স্পেনের মাদ্রিদে জন্ম নেওয়া আশরাফ হাকিমির নেওয়ার শট উড়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধে আরও দুইবার সুযোগ মিলেছিল তাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত আর কোনোভাবেই এগিয়ে যেতে পারেনি তারা। বিপরীতে প্রথমার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি স্পেন।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটে প্রথম শট নেয় স্পনে। অ্যাসেনসিওর পাস থেকে ওলমো সোজাসুজি শটে ইয়াসিন বোনোকে পরাস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হন ওলমো।

আলভারো মোরাতা ও কার্লোস সলোর মাঠে নামলে স্পেনের খেলায় ফেরে গতি। সঙ্গে ছিলেন বদলি হিসেবে নামা নিকো উইলিয়ামস। ৮০ মিনিটে একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। যদিও বল জালে জড়াতে পারেনি তারা।

অতিরিক্ত সময়েও সুযোগের অপেক্ষায় কেটেছে স্পেনের। কোনোভাবেই জালে বল জড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি স্প্যানিশদের। ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। সেই সমতায় ভাঙতে হওয়া ট্রাইব্রেকারেও বল জড়াতে ব্যর্থ স্পেন। ফলে ট্রাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে মরক্কো। 

Link copied!