রানার্স-আপ নেপালের ফুটবলাররা পদক নিয়ে চলে গেছেন খানিক আগেই। চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশেরও খেলোয়াড়-কোচ সবাই চ্যাম্পিয়ন পদক নিয়ে ততক্ষণে ট্রফির অপেক্ষায়। শুধু বাইকি রইলেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। এরপর কয়েকজন কর্মকর্তাও উঠলেন পুরস্কার বিতরনী মঞ্চে উঠলেন নিজেদের মেডেল নেওয়ার জন্য।
তবে খুবই আশ্চর্যের বিষয় হয়ে উঠলো তখন, যখন দেখা গেলো সবাই চ্যাম্পিয়ন পদক নিলেও পদক নিতে মঞ্চে উঠলেন না বাংলাদেশের গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল।
অথচ কোচিং স্টাফ তো বটেই পদক তালিকায় উঠে গেছেন দল নেতা-২ জাকির হোসেন চৌধুরী ও দুই সহকারী ম্যানেজার টিপু সুলতান এবং নুরুল হোসেন নুরুর নামও উঠে গেছে অনায়াসে।
এমনকি ম্যানেজারের সঙ্গে নাম ছিল আরও দুজন সহকারী ম্যানেজারেরও। সবমিলিয়ে কোচ-কর্মকর্তাদের সংখ্যাই ছিল ১৪জন। অথচ সেখানে জায়গা হয়নি একজন গোলরক্ষক কোচের। অন্যদিকে পুরো নেপাল স্কোয়াড রানার্সআপ পদক নেওয়ার বেঁচে গেছে আরও কয়েকটি। আর এদিকে কর্তাদের মঞ্চে ওঠা নিশ্চিত করতে কোচের নামটাই কেটে দেওয়া হয়েছে।
এবারের আসরে সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রুপনা চাকমা। এমনকি ফাইনালেও শেষের দিকে দুর্দান্ত এক সেভ দিয়ে অক্ষত রেখেছেন বাংলার গোলপোস্ট। অথচ তাকে যে তৈরি করেছে সেই কোচ উজ্জ্বলকে পদক তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলতে এতটুকু সমস্যা হয়নি তাদের।
ট্রফি নিয়ে যখন পুরো দল উৎসবে মাতোয়ারা তখন নীরবে মাঠের বাইরে বসে ছিলেন উজ্জ্বল। তার মুখের অবয়ব দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ঠিক কতটা হতাশ আর হতবিহবল হয়ে পড়েছেন তিনি। শেষদিকে যদিও ফুটবলারের অনুরোধে মাঠে এসেছিলেন কিন্তু এই ঘটনা তার মনে দাগ কেটে রাখবে আজীবন।
আপনার মতামত লিখুন :