• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পারল না আফগানিস্তান, সুপার ফোরে বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম
পারল না আফগানিস্তান, সুপার ফোরে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের জন্য সমীকরণটা কঠিনই ছিল। সুপার ফোর নিশ্চিত করতে হলে ৩৭.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে হতো। তুমুল লড়াই করেও নির্ধারিত ওভারের মধ্যে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারল না তারা। তাতেই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো তাদের। অন্যদিকে সুপার ফোর বাংলাদেশের সঙ্গী হলো গত আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের টস জিতে ব্যাট হাতে লঙ্কানদের শুরুটা দারুণ করে দুই ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুইজন তোলেন ৬০ রান। এরপর ৩২ রান করা করুনারত্নকে ফেরান গুলবাদিন নাইব। করুনারত্নর বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ করতেই, লঙ্কানরা হারায় নিসাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার উইকেট। এই দুজনের উইকেট তুলে নেন আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন।

তারপর চারিত আসালাঙ্কাকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন কুশল মেন্ডিস। তাদের ১০২ রানের জুটি মূলত লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দেন। ৩৬ রান করা আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে স্বস্তি ফেরান রশীদ খান। একপাশ আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। তিনি রান আউটের আগে ৮৪ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৯২ রান করে ফিরে যান।

মেন্ডিসের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে ৬ রান যোগ করতেই অধিনায়ক দাসুন সানাকা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ১৪ রান করা সিলভাকে ফেরান মুজিব উর রহমান ও রাশিদের শিকার হন ৫ রান করা সানাকা। লঙ্কানদের স্কোর শেষদিকে ২৯০ ছাড়াতে সাহায্য করেন নবম উইকেটে মাহিশ থিকসানা ও দুনিথ ওয়েলালাগে। নবম উইকেটে জুটিতে এই দুই টেলেন্ডার যোগ করেন ৬৪ রান। ম্যাচের শেষ বলে ২৮ রান করা থিকসানাকে ফেরান গুলাবাদিন। ৩৩* রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েলালাগে। আফগানিস্তানের হয়ে ৬০ রানে ৪ উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব।

সুপার ফোরে ওঠতে হলে লঙ্কানদের দেয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য শেষ করতে হবে ৩৭ ওভার ১ বলে। এমন সমীকরন মাথায় রেখে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান ৫০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতেই হারিয়ে ফেলেন ৩ উইকেট। দলীয় ১০ রানের সময় ৪ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান কাসুন রাজিথা। এরপর রাজিথার দ্বিতীয় শিকার ৭ রান করা ইবরাহিম জাদরান। ওয়ান ডাউনে নেমে কিছুটা মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন গুলবাদিন। ৪ চারে ২২ রান করা গুলবাদিনকে ফেরান মাথিশা পাথিরানা।

এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাসমউল্লাহ শাহিদি ও রহমত শাহ। ৬৩ বলে এই জুটি তোলেন ৭১ রান। দারুণ খেলতে থাকা এই জুটি ভাঙে রহমত ৪৫ রান করে রাজিথার বলে আউট হলে। এরপর অধিনায়কে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মাদ নবী ৪৭ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে নবী করেন ৩২ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৫ রান। নবীর এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানরা যে সমীকরণ মেলাতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে সেটার দিকেই হাটছিল। নবীর বিদায়ের পর শাহিদির সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন কারিম জান্নাত। এই জুটি ভাঙে ইনিংসের ৩২ ওভারে ওয়েলালাগে বলে করতে এসে জান্নাতকে ড্রেসিং রুমে ফেরালে।

এরপর একই ওভারে ওয়েলালাগে ৫৯ রান করা আফগান অধিনায়কে ফেরান। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরান ও রশীদ খানের ব্যাটে আফগানরা সুপার ফোরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। জাদরান করেন ১৫ বলে ২৩ রান। রশীদ খান ১৬ বলে অপরাজিত ২৭* রান করেন। আফগানরা ৩৭ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৯ রান তোলে এতে এশিয়া কাপের সুপার ফরে যেতে তাদের ১ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান।

এমন সময় স্ট্রাইকে আসেন মুজিব উর রহমান। সিলভার বলে মুজিব উড়িয়ে মারেন লেগ অন দিয়ে সেই সময় বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার সামারাবিক্রমার তালু বন্দি হন মুজিব। এতে করে বাংলাদেশের সঙ্গে সুপার ফোরে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে আফগানিস্তান না জেতে পারলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু জয় থেকে মাত্র দুই রানে দূরে থেকেও জয় পাননি তারা। শেষ পর্যন্ত ২৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে ২ রানের নিশ্চিত হয় এশিয়া কাপের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নদের। শ্রীলঙ্কার হয়ে কাসুন রাজিথা নেন ৪ উইকেট।

Link copied!