• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদে শাড়ির দামের সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
ঈদে শাড়ির দামের সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও
শাড়ির দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ঈদ ঘিরে শাড়ি কিনতে দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় করছেন নারীরা। থ্রি-পিসের প্রতি নারীদের চাহিদা থাকলেও শাড়ির প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে। তীব্র গরমের বাইরে স্বাচ্ছন্দে ঘুরাঘুরির জন্য পাতলা শাড়ি কিনছেন কেউ কেউ। তবে গতবারের চেয়ে এবার শাড়ির দাম বাড়লেও বিক্রি বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তীব্র গরমে থ্রী-পিসসহ বাকি পোশাকের যেমন চাহিদা বাড়ছে, তেমনি গতবারের মতো এবারও শাড়ির কদর বেশি। তবে দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।

সালাম নামের নিউ মার্কেটের এক শাড়ি বিক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “শাড়ির কদর সবসময়ই কমবেশি থাকে। কিন্তু ঈদ বা পয়লা বৈশাখ, এমন বিশেষ বৈশিষ্ট্য উৎসবগুলোতে শাড়ির কদর একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তীব্র গরমের মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। তাই গরম থেকে বাঁচতে প্রিয়জন কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঈদে ঘুরাঘুরির জন্য পাতলা শাড়ি কিনছেন অনেকে। এছাড়াও থ্রি-পিসসহ বাকি পোশাকও কিনছেন। তবে শাড়ির বিক্রি বেড়েছে।”

সালাম আরও বলেন, “সবসময় শাড়ির দাম মোটামুটি বলা যায়। এবার বছরের শুরু থেকেই সবকিছু জিনিসের দামের সঙ্গে পোশাকের দামও বেড়েছে। সেই হিসেবে আমরা শাড়ির দাম ওইভাবে বাড়াতে পারিনি। বিক্রির সঙ্গে সমন্বয় রেখে এবার ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। না হলে পোশাকের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলে বিক্রি কমবে। এমনই সাধারণ মানুষের হাতে ক্যাশ টাকা নেই। তাই সাধারণ মানুষ যেন পোশাক কিনতে পারে, সেদিক বিবেচনা করে আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি সবাই মুনাফা ছোট করে ফেলছি।”

শাড়ির দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, এবারের ঈদের বাজারে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার পর্যন্ত শাড়ি বিক্রি হচ্ছে নিউ মার্কেট, ফার্মভিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডের অধিকাংশ মার্কেটে। এছাড়াও গত ছয় মাসের চেয়ে মসলিন শাড়ি ৫০০-৭০০ টাকা বেড়েছে। ভালো মানের শাড়ি দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

পাঁচ সদস্যদের পরিবার নিয়ে নিউ মার্কেটে পোশাক কিনতে আসেন মো. কাউসার মোল্লা। তীব্র গরমে মার্কেটে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা না গেলেও সহধর্মিণী ও বোনের জন্য শাড়ি কিনেই মার্কেট থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা। তবে কয়েকটি শাড়ির দোকান ঘুরে সহধর্মিণীর শাড়ি পছন্দ না হওয়ায় কিছুটা বিরক্তির ছাপ দেখা যায় তার চেহারায়।

কাউসার মোল্লা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “রোজা থেকে কাঠফাটা রোদে মার্কেটে আসা সত্যিই কষ্টকর। না যায় বেশি দোকানে ঘুরে পোশাক পছন্দ করা, না যায় পরিবার নিয়ে মার্কেট করা। একদিকে বাইরের গরম, অন্যদিকে অতিরিক্ত মানুষের শরীরের গরম। সবকিছু মিলিয়ে বিরক্তিকর অবস্থা।”

কাউসার মোল্লা আরও বলেন, “সহধর্মিণী শাড়ি কিনবে। তাই শাড়ির দোকানে দোকানে ঘুরছি। তবে শাড়ির দোকানে যে পরিমাণ ভিড় একটু যে দাঁড়াবো সে সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন শাড়ির নাকি কদর বেশি। তাই শাড়ির দোকানে তাদের সঙ্গে বেশি দামাদামি করার সুযোগ নেই।”

শাড়ির দাম বাড়তি নিয়ে এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে মারুফা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, “আপনারা মিডিয়ায় শাড়ির দাম বেশি নিয়ে লেখালেখি করেন। যেন শাড়ির দাম কমে যায়। আমরা এত বেশি টাকা দিয়ে শাড়ি কিনতে পারছি না। ব্যবসায়ীরা বলছেন শাড়ির দাম বেড়েছে, তবে কী পরিমাণ বেড়েছে, সে কথা তারা বলেন না। শুধু আমাদের কাছে থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা চাই ভোক্তা এসে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে সবকিছু জিনিসের দাম কমিয়ে দিক।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!