• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ডলারের দাম বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
ডলারের দাম বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে
ডলার। ছবি: সংগৃহীত

ডলারের দাম বাড়লেই প্রশ্ন আসে, মার্কিন মুদ্রার দাম বাড়লে আমাদের কী? এমন প্রশ্নের সহজ উত্তর—ডলার কিনতে বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। শুধু তাই নয়, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া মানে টাকার দাম কমে যাওয়া। যা সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করে।

ডলারের দাম বেড়ে গেলে বেশি খরচে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে হয়। অপরিশোধিত তেলের জন্য অতিরিক্ত ডলার খরচ করতে গিয়ে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সক্ষমতা কমে যায়। আমদানিনির্ভর বিদেশি পণ্য হয়ে যায় ব্যয়বহুল।

সেই সূত্র ধরেই তেলের দাম বেড়ে গেলে বেড়ে যায় শাকসবজি, ভোজ্য তেল ও খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিবহন খরচ। ফলে সব ধরনের পণ্যের দামও যায় বেড়ে। যা সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে।

শুধু কি তাই? ডলারের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়। ডলারের দাম বেড়ে গেলে টাকার দরপতন হওয়ায় বিদেশি শিক্ষা ও ভ্রমণ হয়ে ওঠে আরও ব্যয়বহুল। টিউশন ফি ও ফ্লাইটের টিকিট ডলারে পরিশোধ করতে হয় বলে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়।

কেন এমনটা হয়? এ প্রশ্নের উত্তর হলো- মার্কিন ডলার প্রধানতম বৈশ্বিক মুদ্রা। যদিও মার্কিন ডলারের পাশাপাশি ইউরো জনপ্রিয়। আর বিশ্ববাজারে এই দুটোর প্রচলন বেশি। তবে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের অংশ ৬৪ শতাংশের বেশি। যেখানে ইউরো প্রায় ২০ শতাংশ।

শুধু কি তাই? অপরিশোধিত তেলসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ শতাংশ ঋণ অনুমোদিত হয় ডলারে। বিশ্বের ১৮০টির বেশি অন্যান্য মুদ্রার বেশিরভাগই নিজ নিজ দেশের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। তাই এক্ষেত্রে বলাই যায়, ডলার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির শক্তিকে প্রতিফলিত করে।

এখন যেসব দেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেশি, তারা রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি বাবদ বেশি খরচ করে। ডলারের দাম বেশি হলে সেসব দেশের আমদানি খরচ বাড়ে।

তবে ডলারের দাম বাড়লে অনেকেই খুশি হন। যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত বা অন্যান্য দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডলারের দাম বাড়লে দারুণ খুশি হন। কারণ, দেশে ডলার পাঠালে বিনিময় হারের কারণে তাদের পরিবার বেশি অর্থ পায়।

এছাড়া ডলারের দাম বাড়লে কিংবা ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলে রপ্তানিকারকরা ডলারের বিপরীতে আরও বেশি অর্থ পান। কারণ, তখন বিদেশি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়।

Link copied!