• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সবজিতে দামের ওঠানামা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
সবজিতে দামের ওঠানামা
বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ সবজির দাম বাজারে কমেছে। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। আর করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় শিম কেজি প্রতি কমেছে ১০ টাকা। আর করলায় বেড়েছে ২০ টাকা। একইভাবে অন্যান্য সবজির দামও ওঠানামা করছে। বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ সবজির দাম বাজারে কমেছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, এখনো ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে সবজির বাজার।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) নগরীর এ বৃহৎ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ বাজারে উল্লেখযোগ্য সবজিগুলোর মধ্যে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ৬০ এবং লাউ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০, মুলা ২৫, ব্রোকলি ৪০, বেগুন ৬০, শসা ৫০, গাজর ৩০ এবং আলু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে বাঁধাকপির দাম ছিল ৪০ টাকা। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া ৫০, লাউ ১০০, কাঁচা মরিচ ৮০, মুলা ৩০, শসা ৪০, গাজর ৪০ এবং আলুর বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। আর বেগুন, ফুলকপি ও ব্রোকলির দাম ছিল একই রকম।

বাজারের এই চিত্র বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে বাঁধাকপি, কাঁচা মরিচ, মুলা, গাজর ও আলু মিলিয়ে ৫টি উল্লেখযোগ্য পণ্যের। আর দাম বেড়েছে লাউ, মিষ্টি কুমড়া ও শসা মিলিয়ে মোট ৩টি পণ্যের।    

সবজি কিনতে আসা সমর সাহা বলেন, “আজকের বাজারে জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে মৌসুম হিসাবে আরও দাম কম হতে পারত। আজকে ৬০ টাকা বিক্রি হওয়া শিম এক কেজি কিনেছি। ৪০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। সেটার স্বাদ একটু কম।”

তেঁজগাও থেকে আসা আবুল কালাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি। দামের তুলনায় আমাদের আয় কম। তাই সবজি কিনতে গেলে অনেক বুঝে পরিমাণ মতো নিতে হচ্ছে। যতটুকু কিনব বলে নিতে এসেছিলাম, এখন নিতে পারব বলে মনে হয় না।”

সাহবদ্দিন নামের এক বিক্রেতা বলেন, “আজকে ক্রেতা গত সপ্তাহের থেকে একটু কম। কিছু সবজির দাম আজকে বেশি। আবার কিছু সবজির দাম কম। যেসব সবজির সরবরাহ বেশি। সেগুলোর দাম কম। আর অন্যগুলোর দাম বেশি।”

রাজ্জাক নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “বাজারে লাল আলু ৪৫টা আর সাদা আলু ৪০ টাকা। ৫০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম যত দিন যাবে কমে আসবে। কারণ এখন কৃষকের আলু উঠতেছে। ক্রেতাদের কাছে দাম বেশি মনে হবেই। তারা যত কম পাবে তত ভালো।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!