• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না খেজুর
খেজুরের দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রমজানে ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। অতি সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খেজুরের দাম বেঁধে দেওয়া হলেও সেই দামে বাজারে মিলছে না ইফতারির এই অনুষঙ্গ।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২২০ টাকার নিচে কোনো খেজুর নেই। মাঝারি মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ইরাকের জাইদি খেজুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। ভালো মানের খেজুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

কারওয়ান বাজারের বিক্রমপুর ফল বিতানের মূল্য তালিকা অনুযায়ী, দাবাস খেজুর ৪৪০ টাকা, জাইদি খেজুর ২৮০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, মাশরুক খেজুর ৭০০ টাকা, আলজেরিয়ান খেজুর ৫৫০ টাকা, মাবরুর খেজুর ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা, আজুয়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালমি খেজুর ৯০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার, মেডজুল খেজুর ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজানের আগে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমায় সরকার। আগে যেখানে আমদানি শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ, রমজানকে সামনে রেখে সেটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। খেজুর আমদানিকারকেরা এ সুবিধা পাবেন ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সরকার এ ঘোষণা দেয়। তবে শুল্ক কমানো ও দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানেন না বলে দাবি।

তাদের ভাষ্য, অনেক ব্যবসায়ী রোজার এক মাসের জন্য খেজুর মজুত করে রেখেছেন। বাজারে যেন সংকট না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এক মাস বা রোজার ১৫ দিন আগে থেকে খেজুরের দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বৈঠক করলে ব্যবসায়ীরা সেভাবেই কাজ করতেন।

আবুল কালাম নামের এক খেজুর ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সারা বছর যে পরিমাণ খেজুরের চাহিদা থাকে, রোজার এক মাসেই তার চেয়ে তিনগুণ চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ব্যবসায়ীরা রমজানে খেজুর ব্যবসা পরিচালনার পরিকল্পনা আগেভাগেই গ্রহণ করে থাকে। নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি করে থাকে তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।”

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম বলেন, “ডলারের দাম যতদিন কমবে না, খেজুরের দামও কমবে না। বাইরের দেশে খেজুরের দাম অনেক কম। কিন্তু আমদানি খরচ শুল্ক দিয়ে দাম দেশেই বেড়ে যায়। এ ছাড়া পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ আরও আনুষঙ্গিক খরচের কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে খেজুরের দাম বেড়ে যায়।”

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে খেজুর না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। খেজুরের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে সরকারের সংশ্লিষ্টরা কাজ করলেও খুব একটা সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

আজাদ নামের এক খেজুর ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “শুনলাম খেজুরের দাম সরকার বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সেই দামে খেজুর নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন খেজুর আগে কেনা।”

Link copied!