• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিসমাসে নানা প্রথা কেন পালন হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৬:৪৯ পিএম
ক্রিসমাসে নানা প্রথা কেন পালন হয়

দরজায় কড়া নাড়ছে বড়দিন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উত্সব। এই উত্সবে সাজানো হবে ক্রিসমাস ট্রি। গোটা বিশ্ব জুড়ে এখনই শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে দিনটিকে পালন করা হয়। কেক কাটা, ক্রিসমাস ক্যারল, ঘণ্টার টুংটাং আওয়াজ এবং জানালায় মোজা ঝুলিয়ে সাজানো হয় পুরো ঘর। অপেক্ষা থাকে সান্টা ক্লজের। ঝুলিতে উপহার নিয়ে হাজির হয় সান্তা ক্লজ। ভালোবাসা ও একতার বার্তা ছড়িয়ে দেয় সবার মাঝে।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের এই উত্সবে সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা প্রথা। চলুন এই দিনটি উদযাপনের সেই প্রথা সম্পর্কে জেনে প্রস্তুতি শুরু করি।

মোজা ঝোলানো

উত্সবে ঘর সাজাতে জানালায় মোজা ঝুলানো হয়। খ্রিস্টানদের প্রচলিত কাহিণি অনুসারে জানা যায়, এক গরীব লোকের তিনটি মেয়ে ছিল। এই মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি ছিল না তার। বড়দিনের রাতে ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করার জন্য সেন্ট নিকোলাস এক ব্যাগ সোনা  তার বাড়ির চিমনির মধ্যে দিয়ে ফেলে দেন। সেই ব্যাগ ভর্তি সোনা চিমনির কাছে ঝুলিয়ে রাখা মোজার মধ্যে গিয়ে পড়ে। সেই থেকেই বড়দিনের রাতে মোজা ঝুলিয়ে রাখার প্রথা এসেছে। এটি খুশি আর আনন্দের প্রতীক। এতি সান্টা আনন্দ আর ভালোবাসা ভরে দিয়ে যান বলে বিশ্বাস করা হয়।

ক্রিসমাস বেল

বড়দিনে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর অন্যতম অনুসঙ্গ ক্রিসমাস বেল। ছোট ছোট ঘণ্টা ঝুলিয়ে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীদের বিশ্বাস, এই ঘণ্টার মিষ্টি আওয়াজে ঘর থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়।

কেক কাটা

বড়দিন মানেই কেক। কেকের নানা আয়োজন। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বলে কথা। এই দিন অন্যদের কেক খাইয়ে খুশি ভাগ করে নেওয়া হয়। যার মাধ্যমে মনের দুঃখ ও অবসাদ কেটে যায়। কেকের মিষ্টি স্বাদে সম্পর্কগুলোও মধুর হয় বলে মনে করা হয়।

মোমবাতি

বড়দিনে ঘর সাজানোর আরও একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে মোমবাতি। ঘর জুড়ে নানা ডিজাইনের, নানা আকারের মোমবাতি রাখা হয়। উদ্দেশ্য একটাই, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে চারপাশ আলোয় আলোয় ভরে দেওয়া। তাদের বিশ্বাস, মোমবাতির নরম আলো দুঃখ যন্ত্রণা দূর করে দেয়।

উপহার দেওয়া

বড়দিনে কাছের মানুষদের উপহার দেওয়া হয়। এই রীতি বহু পুরোনো। কাছের মানুষদের উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। পাশাপাশি দরিদ্রদের মাঝেও জামা কাপড় ও মিষ্টি  উপহার দেওয়ার রীতি হয়েছে। সবাই একসঙ্গে উত্সবে আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই মূল উদ্দেশ্য।

ক্রিসমাস ট্রি

বড়দিনের প্রধান আকর্ষণ ক্রিসমাস ট্রি। ক্রিসমাস ট্রি সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করে খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীয়রা। তারা বিশ্বাস করেন, ঘরে জুড়ে ক্রিসমাস ট্রি থাকলে নেগেটিভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Link copied!