চলছে নো মেকআপ লুক স্টাইল। কোনোরকম মেকআপ না করেও মেকআপ করার মতো লুকে থাকা। এটি করতেও লাগে অনেক মেকআপের প্রয়োজন। কিন্তু আপনি চাইলে নরমালই এই লুকে থাকতে পারেন সারাক্ষণ। সব সময়ের জন্য পেতে পারেন ত্বকের জেল্লা, লাবণ্যময় ও উজ্জ্বলতা এবং সেটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
খাদ্যাভ্যাস
আমরা যেটাই খাই না কেন, তা সরাসরি আমাদের ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। পুষ্টিকর ডায়েট আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলে। আবার কোনো একটি খাদ্য উপাদানের অভাবে চেহারায় নিষ্প্রাণভাব চলে আসতে পারে। ফল আর সবজি খেতে হবে প্রচুর। সব তেল শরীরের জন্য খারাপ নয়। খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড না থাকলে দ্রুত বুড়িয়ে যাবে ত্বক। সিডস, আখরোট ইত্যাদি খেলে ভালো। আবার আমিষের ঘাটতি হলেও চলবে না।
পানি পান করুন
পানি খাওয়ার কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আমাদের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পানি দরকার। শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্স করা আর হজম ভালো রাখার মতো কাজ করে পানি। আর তেমনি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতেও শুধু ময়েশ্চারাইজার দিলে হবে না। পানি পান করতে হবে সারা দিন। দিনে ৮ বা তার বেশি গ্লাস পানি পান করা জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া আর ভোরে ওঠা শুধু স্বাস্থ্য নয়, ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এতে শরীরের বিপাকীয় কাজগুলো ভালোভাবে হয়, টক্সিনমুক্ত হয়। ক্লান্ত চেহারায় যতই মেকআপ করা হোক, তা ম্লান লাগবেই। চোখের নিচের কালি, ফোলাভাব সবই অনিদ্রার কুফল। তাই ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম খুব দরকার। নিয়মিত ঘুমকে বিউটি স্লিপ বলা হয় সৌন্দর্যজগতে।
প্রসাধনীর ব্যবহার
প্রসাধনীর যুগে ভালো-মন্দ দুটোরই চল রয়েছে বাজারে। ত্বককে নিরাপদ রাখতে চাইলে ভালো করে জেনেবুঝে ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী ব্যবহার করুন। তাতে ত্বক সুস্থ থাকবে। উন্নত মানের ভালো প্রসাধনীতে ত্বকের জেল্লা বেড়েও যেতে পারে। আজকাল বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বেশ ভালো ভালো ক্রিম পাওয়া যায় দোকানে। এসব ক্রিম ত্বকের জন্য ভালো কার্যকরী।
ব্যায়াম করুন
অদ্ভুত মনে হলেও শরীর ও মনের বেশির ভাগ সমাধান করতে পারে ব্যায়াম। আপনি যে ধরনের জীবনযাপনই করুন না কেন, প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করতেই হবে। ইয়োগা করলে মন ও শরীর দুইই ভালো থাকে। ফলে স্ট্রেস থেকে ত্বকের নানা সমস্যা আর হয় না। সপ্তাহে অন্তত ৩ ঘণ্টা কার্যকরভাবে ব্যায়াম করলে ত্বক ভালো থাকে, বলছে গবেষণা। কারণ, ব্যায়াম রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়, টক্সিন দূর করে, ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখে।