কলম্বো টেস্টে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়েছে। ৪ বল খেলেই আউট হন লিটন! তৃতীয় দিনের শুরুতেই তাইজুল-নাঈমদের স্পিনে নিজেদের সংগ্রহ বড় করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ২৯০ রানে ২ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা লঙ্কানরা ৪৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। তবে দিনের শুরুতে যেভাবে স্পিন ধরেছে, তাতে শ্রীলঙ্কার এই ২১১ রানের লিডই বাংলাদেশকে চোখ রাঙানোর জন্য যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছিল। তা-ই হলো! বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষেই ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছে। আজ টেস্টের সব হিসাব-নিকাশ শেষ হয়ে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা, স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১৫ রান। ইনিংসে হার এড়াতেই বাকি ৪ উইকেটে আরও ৯৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। দিন শেষে ক্রিজে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন লিটন দাস।
২১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এবারও হতাশা উপহার দিয়েছেন। আগের ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া এনামুল হক বিজয় এবার রানের দেখা পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিজয়, দলের রান তখন ৩১। আসিথা ফার্নান্দোর বলে পুল শট খেলতে গিয়ে ২২ গজের ভেতরেই শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন।
বিজয়ের বিদায়ের পর চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সেশনে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ১২ রান করে প্রভাত জয়াসুরিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি।
দলীয় ৩১ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ক্রিজে নেমে লঙ্কান স্পিনারদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন মুমিনুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তরা। তৃতীয় উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন মুমিনুল-শান্ত।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১৫ রান করা মুমিনুল। এরপরই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। চার ওভার পর ধনঞ্জয়ার শিকার হন অধিনায়ক শান্ত। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন মাত্র ১৯ রান করে।
দলীয় ৭০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন লিটন-মুশফিকের দিকে তাকিয়ে। পঞ্চম উইকেটে দেখেশুনে খেলে দলীয় এক শ রান পার করেন এই দুজন। তবে দলীয় এক শ রান পার করার পরেই প্রভাত জয়াসুরিয়ার বলে মাত্র ২৬ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক।
এরপর ক্রিজে নেমে ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ হয়েছেন। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে থারিন্দু রত্নায়েকের বলে এলবিডব্লিউ হন মিরাজ। যদিও আম্পায়ার প্রথম আবেদনে সাড়া দেননি। কিন্তু রিভিউ নিয়ে ১১ রান করা মিরাজের প্যাভিলিয়নে যাওয়া নিশ্চিত করে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশ দলীয় ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। ৩৯ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত আছেন লিটন।
