• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্যারিয়ারে উন্নতি করার কিছু কৌশল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম
ক্যারিয়ারে উন্নতি করার কিছু কৌশল

প্রত্যাশিত জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া বা দেখার ইচ্ছা প্রত্যেক মানুষেরই সহজাত প্রবৃত্তি। নিজের উন্নয়নে যত্নশীল ও মনোযোগী হলে তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। অনেকে দ্রুত সময়ে ক্যারিয়ারের সফলতা পান। কারণ, তারা জানেন, প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকে। তাই তারা সফল হওয়ার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং জয়ী হন।

নিয়মিত পাঠাভ্যাস
যেকোনো কিছু শেখার জন্য নিয়মিত পড়া হলো সবচেয়ে উত্তম ও কার্যকরী পন্থা। নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে যে কৌশলগত জ্ঞান অর্জন করা যায় তা  কর্মজীবনে এগিয়ে রাখবে অনেকখানি। শুধু পেশা সংশ্লিষ্ট বই পড়লে হবে না। প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলে এর পাশাপাশি পড়া পড়তে জবে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক বইও। যা একজন ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করে। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য-ইতিহাস, বিখ্যাত ব্যক্তিদের রচিত প্রবন্ধ পড়া যেতে পারে। চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন পড়ার জন্য সময় বের করা এবং সেটিকে অভ্যাসে পরিণত করা। এই পড়াকে নিজের ও ক্যারিয়ার উন্নয়নে দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারেন।

নতুন শখ তৈরি
পরিবার ও কর্মজীবনের পাশাপাশি নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নেওয়া জরুরি। একঘেয়েমি কাটাতে, কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরির জন্য কিছু শখ থাকাও প্রয়োজন। খেলাধুলা, কারুশিল্প কিংবা নতুন ভাষা শেখায় কিছুটা সময় বের করে নিজেকে দিতে হবে। নিজেকে দেওয়া সময়টুকু কীভাবে কাটাবেন, তা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো। নতুন কিছু শেখা বা নিজেকে সময় দেওয়া আত্ম-উন্নয়নের একটি বিশেষ দিক।

প্রশিক্ষণ গ্রহণ
নিজের চেষ্টায় নতুন কোনো দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি কোনো প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। পাঠ্যক্রম বহির্ভূত পাঠ বা কোম্পানি-স্পন্সর প্রশিক্ষণগুলো এবং একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্যে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন সম্ভব। এসব অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা-পরবর্তী কর্মজীবনে কোথাও না কোথাও কাজে লেগেও যেতে পারে।

চাহিদা ও দক্ষতার সমন্বয়
পেশাজীবনে অগ্রসর হতে হলে নিজের চাহিদা ও দক্ষতার সমন্বয় করতে হবে। আপনার লক্ষ্য কী ও নিজের দক্ষতা দিয়ে কতটুকু সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন, সেটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। দক্ষতাগুলো শনাক্ত করে রপ্ত করে নিলে নিজের উন্নয়নের পথ সহজ হবে। এবং আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে সহায়তা করবে।

সময়সূচি তৈরি
একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করে আপনি কীভাবে আপনার সময় ব্যবহার করবেন, সেটি ঠিক করে ফেলুন। আপনি যেভাবে আপনার দিন কাটাচ্ছেন, তা পুনর্বিবেচনা করে এবং সবচেয়ে মূল্যবান সময়গুলো চিহ্নিত করতে পারেন। এতে করে সময়কে সর্বাধিক ফলপ্রসূ করার জন্য নতুন উপায়গুলো শনাক্ত করতে সহায়তা হবে।

শরীরচর্চা 
নিয়মিত ব্যায়াম স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, কর্মক্ষেত্রে ও ব্যায়ামের ভূমিকা অনেক। যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করলে মন শিথিল থাকে। সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন নির্দিষ্ট সময়ে শরীরচর্চা করা উচিত। জিম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, ইয়োগার মধ্য থেকে পছন্দমতো ধরন বেছে নেওয়া যেতে পারে। প্রক্রিয়াটিকে আনন্দদায়ক করতে কাউকে ওয়ার্কআউট পার্টনার বানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিবার যখন একটি ওয়ার্কআউট সম্পন্ন করবেন তখন নিজেকে উৎসাহিত করুন।

লক্ষ্য নির্ধারণ
সারা দিনে কয়েকটি ছোট ছোট লক্ষ্য থাকতে পারে। যেমন সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছানো, একটি প্রকল্প শেষ করা, পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়া, একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি। অপরদিকে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও থাকতে পারে। এর মধ্যেই আগামী ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান সেটি নির্ধারণ করুন এবং লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে করণীয় কাজগুলো নির্ধারণ করে মাঠে নেমে পড়ুন।

মানসিকতায় পরিবর্তন আনা
নিজের চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। মানসিকতায় পরিবর্তন আসলে, আপনি আগে যা ভেবেছিলেন তারচেয়ে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর আপনার আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আপনি কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না তা জানা থাকলে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহজ হবে।

পরামর্শদাতা খুঁজুন
যখন পথ দেখানোর জন্য একজন নির্দেশক থাকবে, তখন নিজের উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা করা আরও ফলপ্রসূ হবে। পেশাদার অনুপ্রেরণা বা বিশেষজ্ঞের সহায়তা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। একজন সঠিক পরামর্শদাতা সবচেয়ে বড় লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

Link copied!