আগেরকার দিনের মতো পাটায় বাটনার কাজ এখনকার দিনে করতে হয় না বললেই চলে। কারণ ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভারি বাটনা বাটার কাজ করে নেওয়া যায়। এর ফলে বিশ্রাম পাওয়া যায় পিটে, হাঁটুতে। তবে ব্লেন্ডার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানলে অল্পদিনেই নতুন ব্লেন্ডার নষ্ট হয়ে যায়। চলুন তাহলে আজ জেনে নেব ব্লেন্ডার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
পরিষ্কার রাখুন
নতুনকিনে আনার পরে ব্লেন্ডারের ভেতরের দিকটা ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। কারণ সেখানে রাসায়নিক দ্রব্য ও ধুলাবালি জমে থাকতে পারে। ব্যবহার চলাকালীন সময়েও কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করলে ব্লেন্ডার অনেকদিন ভালো থাকে।
ভালোমতো প্লাগ লাগাতে হবে
ব্লেন্ডারের সাথে থাকা প্লাগটি সঠিকভাবে প্লাগ ইন করবেন। ভুল আউটলেটে প্লাগ ইন করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার বহুদিন অব্যবহৃত থাকলে চেক করে নেবেন প্লাগের তারে চিড় ধরেছে কিনা বা ফেটে গিয়েছে কিনা।
ঢাকনা ব্যবহারে সাবধান
ব্লেন্ডারের ঢাকনা কাঁচের হলে সাবধানে হ্যান্ডেল করতে হবে। যখন ব্লেন্ডার ব্যবহার করবেন, তখন জারের সাথে ঢাকনা ভালো করে লাগিয়ে নেবেন। নয়তো চালু করার পরে ঢাকনা ছিটকে পড়ে যেতে পারে।
উপকরণ ঠিকভাবে বাছাই করুন
যেসব উপকরণ ব্লেন্ডারে দেবেন তা যেন ছোট ছোট করে কাটা থাকে। বড় সাইজের উপকরণ ব্লেন্ড করতে গেলে মেশিনের ওপর চাপ পড়ে। শক্ত ও নরম উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করতে চাইলে আগে নরম উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে নেবেন। তারপরে শক্ত উপকরণগুলো দেবেন। এতে ব্লেন্ডিং ভালো হবে।
শব্দ কমাতে ম্যাট ব্যবহার করুন
ব্লেন্ডারের ঘড়ঘড় শব্দ থেকে বাঁচতে ব্লেন্ডারের নিচে সিলিকন ম্যাট ব্যবহার করুন। তাতে শব্দ ও ভাইব্রেশন দুটোই কম হবে।
গতি কমিয়ে ব্লেন্ডার করুন
প্রথমেই হাই স্পীডে ব্লেন্ডার চালু করবেন না। শুরুতে লো স্পীডে ব্যবহার করবেন, পরে আস্তে আস্তে প্রয়োজন বুঝে স্পীড বাড়াবেন। এতে ব্লেন্ডার অনেকদিন ভালো থাকবে।
প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করুন
জুস তৈরি বা মসলার জন্য প্লাস্টিকের ব্লেন্ডার ব্যবহার করবেন। মাংসের কিমা, রাইস ফ্লাওয়ার বানানোর জন্য স্টিলের ব্লেন্ডার ব্যবহার করবেন।
ব্লেডের ধার ঠিক রাখুন
ব্যবহার করতে করতে ব্লেডের ধার ভোঁতা হয়ে গেলে ডিমের খোসা ব্যবহার করুন। ৫-৬ টি ভাঙা ডিমের খোসা আর অল্প পানি ব্লেন্ডারে দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন। এতে ব্লেডের ধার বেড়ে যাবে।
নষ্ট অংশটি বদলে ফেলুন
ব্লেন্ডার নষ্ট হলে যেই অংশটি নষ্ট হয়ে গেছে শুধু সেই অংশটি ফেলে দিয়ে নতুন করে কিনুন। ব্লেন্ডারের বিভিন্ন অংশ আলাদা কিনতে পাওয়া যায়। এতে করে একটি অংশ নষ্ট হলে পুরো মেশিন বদলাতে হবে না।
যেসব জিনিস ব্লেন্ড করা যায়
- বিভিন্ন লিকুইড খাবার, যেমন জুস, স্মুদি, কোল্ড কফি, মিল্ক শেক, লস্যি, স্যুপ ইত্যাদি বানাতে পারবেন।
- গোটা মসলা গুঁড়া করতে পারবেন। এছাড়াও মসলার মিক্সচার বানাতে পারবেন।
মাংস কিমা করতে পারবেন। - ব্লেন্ডারে চালের গুঁড়া, ওটস পাউডার, আইসিং সুগার কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে ঘরে বসে ব্লেন্ডারে এসব জিনিস বানাতে পারবেন কয়েক মিনিটে।
- যারা ফ্লাফি এগ খেতে পছন্দ করেন তারা ব্লেন্ডারে ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিতে পারেন। তাহলে হাতে ডিম ফেটানোর ঝামেলা করতে হবে না।