বড়দিনে খাবারের আয়োজনে ব্যতিক্রমী কিছু না থাকলে তো আনন্দই জমে না। কারণ উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া। ক্রিসমাসে টার্কির মাংস খাওয়া অনেক দেশেই প্রচলিত। টার্কির মাংস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় এটি খাদ্য তালিকায় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশী, চর্বিকম। তাই গরু কিংবা খাসীর মাংসের বিকল্প হতে পারে এটি। অনেকে টার্কির মাংস খান কিন্তু রান্নার পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। তাদের জন্য রইল রেসিপি-
যা যা লাগবে
- এক কেজি ওজনের টার্কি ১টি
- গরম মসলা পাউডার ১ চা চামচ
- পেঁপেবাটা ২ টেবিল চামচ
- লাল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
- পাপড়িকা ১ চা চামচ
- গোলমরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
- আদাবাটা ১ টেবিল চামচ
- রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ
- মধু ১ টেবিল চামচ
- টক দই আধা কাপ
- কাচা মরিচবাটা ১ চা চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
- মাখন ৩ টেবিল চামচ
রান্নার পদ্ধতি
একটি পাত্রে টার্কি আর মাখন ছাড়া বাকি সবগুলো উপাদান নিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো টার্কির গায়ে কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচিয়ে নেওয়া।
এবার মিশ্রণটি টার্কির সঙ্গে ভালো করে মেখে নরমাল ফ্রিজে ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এই মেরিনেশনটি যতবেশি করা হবে ততই টার্কি খেতে মজা হবে। এরপর মেরিনেশন শেষে ২০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রি-হিট করা ওভেনে ২ ঘণ্টা বেক করতে হবে।
বেক করার আগে টার্কির গায়ে ভালো করে মাখন লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। আধাঘণ্টা বেক করার পর তাপমাত্রা কমিয়ে ১৫০ ডিগ্রি করে নিতে হবে। ব্যস তৈরি হয়ে গেল টার্কি রান্না। এবার পছন্দমতো উৎসবের আমেজ রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
অনেকে সাধারণ মুরগীর মাংসের মতো ঝোল দিয়েও রান্না করেন। সেটিরও রয়েছে আলাদা রেসিপি।
আপনার মতামত লিখুন :