আমরা এটা হরহামেশাই করি। হাত দিয়ে টয়লেট সিট তুলে কাজ সেরে আবার হাত দিয়েই সিটটি নামিয়ে রাখি। কিন্তু এতে করে যে ভয়ানক ক্ষতি করছি সেটি হয়ত খেয়াল করছি না। কারণ, নোংরা টয়লেটে জার্ম বা ভাইরাস সবসময় থেকে যায়। ভালো করে পরিষ্কার না করলে ক্ষতি হতে পারে শরীরের। যেই আপনি এই টয়লেট ব্যবহার করবেন আপনার শরীরে মুহূর্তের মধ্যে প্রবেশ করবে ভয়ানক ক্ষতিকর ভাইরাস। আর এর ফলে বেশ কিছু কঠিন রোগও হতে পারে আপনার।
সাধারণত বাইরে গেলে বেশিরভাগ সময় আমাদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। আর তখনই মূত্র ত্যাগের সময় ভয়াবহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা শতভাগ। একই বিষয় ঘরের নোংরা টয়লেট থেকেও হতে পারে।
নারীরা এই টয়লেটবাহিত ভাইরাসে আক্রান্ত হন বেশি। তবে পুরুষরাও বাদ যান না। মূত্রনালির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে জার্ম বা ভাইরাস। আর তারপরেই পেটে শুরু হতে পারে ভয়ানক ব্যথা। ব্লাডারের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি এই ভাইরাস ক্ষতি করে দিতে পারে কিডনিরও। বিশেষ করে মহিলাদের গোপনাঙ্গে শুরু হয় ইনফেকশন।
পুরুষদেরও এই ইনফেকশন হয়। মহিলাদের ব্রণ, চুলকানি হতে পারে। এজন্য সবসময় টয়লেট পরিষ্কার থাকা বাধ্যতামূলক।
পাবলিক টয়লেট থেকে ছড়াতে পারে এসটিডি। বহু মানুষ পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন। আর যদি কোমড হয় তবে সরাসরি টয়লেট সিট শরীরের স্পর্শে আসে। আর সেখান থেকেই শরীরে আসতে পারে এই অসুখ।
যতটা সম্ভব কোমডের সিটে না বসার চেষ্টা করতে হবে।পুরুষদের প্রস্টেডের ব্যথা হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে প্রস্টেড গ্লান্ডে ইনফেকশন হতে পারে। এর ফলে জ্বরও আসতে পারে।
যেসব দিক মেনে চলবেন
- টয়লেটে ঢুকেই আগে পানি ঢেলে দিন ফ্লোরে এবং টয়লেট সিটে।
- টয়লেটের সিটে বসার তার আগে ভালো করে জীবনুনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন।
- শুকনো টিস্যু পেপার দিয়ে টয়লেট সিট দুপাশেই ভালো করে মুছে নিন।
- টয়লেট ব্যবহার শেষে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন।
