• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘আমি পলাতক নই, খুব শিগগিরই সামনে আসব’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০১:২৪ পিএম
‘আমি পলাতক নই, খুব শিগগিরই সামনে আসব’

স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র ‘খালিস্তানপন্থী’ নেতা অমৃতপাল সিংকে ধরতে ভারতজুড়ে পুলিশের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ১৩ দিন ধরে চেষ্টার পরও তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের বেশভূষাও বদলে ফেলেছেন তিনি। এর মধ্যেই নতুন আরেকটি ভিডিও বার্তায় সামনে এলেন অমৃতপাল সিং। জানালেন, ‘আমি পলাতক নয়, খুব তাড়াতাড়িই সবার সামনে আসব।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। পর পর দুইদিন দু’টি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করলেন অমৃতপাল। আত্মসমর্পণ করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইউটিউব লাইভে তিনি জানান, “আমি পলাতক নই, বিদ্রোহী। আমি কোথাও পালিয়ে যাইনি। খুব শিগগিরই সকলের সামনে আসব। সরকারকে ভয় পাই না আমি। তারা যা খুশি করতে পারেন। কেউ আমায় মারতে চাইলেও আমি ভয় পাই না।” এছাড়া তিনি তার পরিবারকে ধৈর্য হারা হতে নিষেধ করেছেন।

ভারতের পুলিশ অমৃতপালের কোনো কুল কিনারা করতে না পারলেও কখনও পঞ্জাব, কখনও হরিয়ানা কিংবা নয়াদিল্লির সিসি ক্যামেরায় বার বার নানা বেশে নানা রূপে ধরা পরছেন তিনি।

এর আগে গত বুধবার বিকেলে হঠাৎ একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে লাইভে আসেন তিনি। সেখানে দাবি করেন, “ঈশ্বরের আশীর্বাদেই তিনি পালাতে পেরেছেন। যে ভাবে সরকার আমার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকাচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। গোটা খালসা সম্প্রদায়ের এখন এক হয়ে স্বাধীন পঞ্জাবের পক্ষে জনমত গঠন করা উচিত।”

যে ইউটিউব চ্যানেল থেকে অমৃতপাল লাইভে এসেছিলেন, কিছু সময় পরেই সেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কিভাবে অমৃতপাল সিং বারবার পালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশকে গত সপ্তাহে তিরস্কার করেছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট পাঞ্জাব সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনার ৮০ হাজার পুলিশ আছে। তারা কি করছিল। অমৃতপাল সিং কিভাবে পালিয়ে গেল?

পাঞ্জাব সরকার অবশ্য মঙ্গলবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টকে জানিয়েছে, অল্প কিছু দিনের মধ্যে ধরা পড়বে অমৃতপাল সিং।

ভারতের পাঞ্জাবের অন্যতম নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী শিখ সম্প্রদায়। যারা দীর্ঘদিন থেকে ভারত থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তানের’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও রাজস্থানের অংশবিশেষ নিয়ে প্রস্তাবিত এই স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে শিখদের পছন্দ চণ্ডীগড় শহর। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে তারা। ওই আন্দোলন ‘খালিস্তানি’ আন্দোলন নামে পরিচিত।

১৯৮০-এর দশকের দিকে সেই আন্দোলন দমনে ভারত সরকার হাজার হাজার শিখ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছিল। তাদের সেই আন্দোলন সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ সময়। শিখদের পৃথক মাতৃভূমির স্বপ্নকে পুনরায় পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং।

অমৃতপালের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী হিংসা ছড়াতে বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ দেওয়া, পুলিশকে আক্রমণসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। তবে ১৮ মার্চ থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।

Link copied!