পাকিস্তানে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের চারটি চার্চে আগুন দিয়েছে জনতা। এ সময় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি ভাঙচুরও করে তারা।
বুধবার (১৬ আগস্ট) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জারানওয়ালায় এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য ডন। এই সময় উত্তেজিত জনতা অন্তত পাঁচটি চার্চে আগুন দেয়। চার্চসংলগ্ন একাধিক বাড়িও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুলিশ দুই খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী ব্যক্তির কাছ থেকে কোরআন শরিফের দুটি পাতা উদ্ধার করে। তাতে লাল কালি দিয়ে অবমাননাকর কথা লেখা ছিল।
ইয়াসির ভাট্টি (৩১) নামের এক খ্রিষ্টান ব্যক্তি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসে জানান, তারা (উত্তেজিত মুসলিম জনতা) ঘরবাড়ি ভেঙে ফ্রিজ, সোফাসহ সব আসবাব চার্চের সামনে নিয়ে স্তূপ করে। পরে তাতে আগুন দেয়। তারা এই সময় বাইবেলও আগুনে পুড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রায় ৯৬ শতাংশ মুসলমানের দেশ পাকিস্তানে ব্লাসফেমির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যদিও এখনো কারও ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। তবে উত্তেজিত মুসলিম জনতা ব্লাসফেমির অভিযোগ তুলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে।