• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ে চীন-রাশিয়াকে স্বচ্ছতার আহ্বান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ১২:২২ পিএম
পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ে চীন-রাশিয়াকে স্বচ্ছতার আহ্বান

সদ্য সমাপ্ত গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনায় সদস্য দেশগুলো পারমাণবিক অস্ত্রাগার সম্পর্কে রাশিয়া ও চীনকে আরও বেশি স্বচ্ছতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিল। মূলত পারমাণবিক অস্ত্রাগার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পদক্ষেপের মতো একই পথে হাঁটার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার অভিযোগ করেছে, গ্রুপ অব সেভেনের একমাত্র লক্ষ্য হলো মস্কো ও বেইজিংয়ের ওপর মনস্তাত্ত্বিক, সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা।

মঙ্গলবার (২৩ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়া ও চীনকে চাপ দিতেই জি-৭ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কথা বলছে।

রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, জি-৭ সদস্য দেশগুলোর এই বিবৃতিটি গ্রুপের রুশবিরোধী এবং চীনবিরোধী সুরকেই প্রতিফলিত করেছে।

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মন্তব্যে রিয়াবকভ বলেছেন, “আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আকারের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর এই বক্তব্যের একটিই লক্ষ্য রয়েছে। আর তা হলো রাশিয়া ও চীনের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও সামরিক-রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা। এর পেছনে স্পষ্টতই আমাদের (এবং বন্ধু) দেশগুলোকে হেয় করার প্যাথলজিকাল ইচ্ছা রয়েছে।”

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্য নিয়ে চীন ও রাশিয়া উভয়ই ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ যে কার্যত একই অবস্থানে রয়েছে সেটিও তুলে ধরেছে। এ ছাড়া মস্কো এই শীর্ষ সম্মেলনকে রুশবিরোধী এবং চীনবিরোধী হিস্টিরিয়ার ‘ইনকিউবেটর’ বলে অভিহিত করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ঠিক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেইজিং সফর করেছিলেন। তবে ঠিক সেই সময়ই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো ইউক্রেনের সীমান্তে জড়ো হচ্ছিল। উভয় নেতা সে সময় তাদের অংশীদারিতে ‘কোনো সীমা’ না রাখার ব্যাপারে সম্মত হন।

মূলত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার ‘প্রিয় বন্ধু’ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘সীমাহীন’ অংশীদারত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে এই দুই পরাশক্তি দেশ নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে।

অবশ্য চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নিজেকে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে এসেছে এবং পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সেটির নিন্দাও জানায়নি বেইজিং। এমনকি রাশিয়ার আগ্রাসনকে ‘আক্রমণ’ বলা থেকেও বিরত রয়েছে চীন।

Link copied!