যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এখন চলছে পুলিশি অভিযান। প্রায় সব প্রবেশ পথেই পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। ইতোমধ্যে ক্লাস বাতিল হয়েছে। পরীক্ষা কবে হবে তার ঠিক নেই। সর্বত্র থমথমে ভাব। এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে একশোর বেশি শিক্ষার্থীকে আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাস এখন বিপর্যস্ত।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস এঞ্জেলসে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরা ইসরায়েলপন্থী একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থীদের তাবুগুলোতে হামলা চালায়।
ক্যাম্পাসে বুধবার (১ মে) শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিলো। এ নিয়ে অবশ্য গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় ‘সীমিত ও বিলম্বিত’ পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অনেকেরই অভিযোগ, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।
অন্যদিকে, পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, “তাকে গভীর দুঃখ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযানের নির্দেশ দিতে হয়েছে। আর সেই ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।”
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :