• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সৌদি তরুণীকে ১১ বছরের কারাদণ্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
সৌদি তরুণীকে ১১ বছরের কারাদণ্ড
মানাহেল আল-ওতাইবি। ছবি: সংগৃহীত

নারী অধিকার ও পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলায় এক তরুণীকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সৌদি আরবের একটি আদালত। দেশটির আইনের সন্ত্রাসবাদবিরোধী ধারায় মানাহেল আল-ওতাইবিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রথমে মানাহেল আল-ওতাইবিকে গোপনে কারাদণ্ড দেওয়া হলেও পরে তা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটি জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে স্বীকার করে যে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি আল-ওতাইবিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সৌদি সরকারের দাবি, ওই তরুণী যা করেছেন তা দেশটির আইন অনুসারে ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’।

মানাহেল আল-ওতাইবি একজন স্বীকৃত শরীরচর্চা প্রশিক্ষক। তিনি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায়ই নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে কথা বলতেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের একটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই ধারা অনুসারে, কেউ অনুমোদন ছাড়া কোনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সংবাদ, বিবৃতি, মিথ্যা বা গুজব সম্প্রচার বা প্রকাশ করলে তা সন্ত্রাসবাদ বলে গণ্য হবে।

সৌদি এই তরুণীর বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ হলো—তিনি #সোসাইটিইজরেডি নামে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের ওপর পুরুষ অভিভাবকত্ব বাধ্যতামূলক করার আইন বাতিলের পক্ষে কথা বলছিলেন।

মানাহেল ছাড়াও তার বোন ফৌজ আল-ওতাইবির বিরুদ্ধে শালীন পোশাক না পরার অভিযোগ তুলেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারের আগেই তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান। তাঁদের বড় বোন মারিয়ামও নারী অধিকারের পক্ষে কথা বলায় কারাগারে বন্দী হন। পরে তাঁকে ২০১৭ সালে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনিও বাধ্যতামূলক পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন বাতিলের দাবি করেছিলেন।

Link copied!