• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩, ১১:১২ এএম
বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা

বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (২৫ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘোষণা দেন।

পুতিন জানান, পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার হতে পারে এমন কিছু সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এরই মধ্যে বেলারুশে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। পুতিন বলেছেন, এই পদক্ষেপটি পারমাণবিক অপসারণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না। রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিলেও মস্কো এই অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের কাছে হস্তান্তর করবে না।

একইসঙ্গে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র স্থাপনের সাথেও তুলনা করেছেন তিনি। কবে নাগাদ পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করা হবে তা উল্লেখ করেননি পুতিন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তারা মনে করে না।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশলগত পারমাণবিক অবস্থান সামঞ্জস্য করার কোনো কারণ দেখিনি। আমরা ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

রাশিয়ার প্রতিবেশী ও মিত্রদেশ বেলারুশ। এছাড়া বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেনেরও বড় সীমান্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশ পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের সঙ্গে।

শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি উত্থাপন করে আসছিলেন।এখানে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এটা করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্রদেশগুলোতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করছে।”

তিনি আরও বলেন, “রাশিয়া আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের স্টোরেজ সুবিধার নির্মাণ কাজ শেষ করবে। বেলারুশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা দুই দেশ একই কাজ করব বলে সম্মত হয়েছি।”

প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ইউরোপের দীর্ঘতম শাসক। গত ২৮ বছর ধরে তিনি বেলারুশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বেলারুশিয়ান এই প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন তাকে ২০২০ সালে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের পরও টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। এছাড়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থনের জন্য সাবেক এই সোভিয়েত রাষ্ট্রের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ বিলিয়ন ডলার মূল্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

Link copied!