শরীরে মাংস বেড়ে ছোট দানার মতো গোলাকার বা লম্বাটে হয়ে চামড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে। আমাদের কাছে এগুলোই ‘আঁচিল’ নামেই বেশি পরিচিত। আঁচিল হলে কোনো ধরণের ব্যথা অনুভূত হয় না। ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা.মেহরান হোসেন বলেন, যতক্ষণ না চোখে পড়েছে অনেকে বুঝতেও পারে না যে তার আঁচিল হয়েছে। চালুন আজ জেনে নেব আঁচিল কেন হয়-
- সংক্রমিত লোকের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার করলে, সেলুন থেকে কাঁচি ও ক্ষুরের সাহায্যেও ছড়াতে পারে।
- সংক্রমিত মায়ের থেকে শিশুর দেহে হতে পারে।
- নখ কামড়ানোর অভ্যাস থেকে জিহ্বা বা মুখগহ্বরের ভেতরও আঁচিল হতে পারে।
- যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে প্রচুর আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- যাদের যৌনাঙ্গে আঁচিল আছে, তাদের সঙ্গে যৌন মিলনে এ রোগ ছড়াতে পারে। এটা পায়ু পথের চারধারে হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় এই রোগ হরমোনের প্রভাবে বড় আকার ধারণ করে, যা অনেক সময় নরমাল ডেলিভারিতে বাধা সৃষ্টি করে।
- একবার আঁচিল পড়ে যাওয়ার পর আবার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে যাদের আঁচিল হওয়ার হার বেশি তাদের এমনিতে আঁচিল হতে পারে।
চিকিৎসার পদ্ধতি
এটি মূলত সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্টেই ভালো হয়। লেজার দিয়ে তোলা হয় কারণ ওষুধে খুব একটা কাজ হয় না। স্কিন ক্যানসার বলে নিশ্চিত হলে প্লাস্টিক সার্জনকে দিয়ে পুরোটা কেটে বাদ দিতে হবে। আঁচিল ‘ম্যালিগন্যান্ট’ না হলে ও ‘স্কিন ওয়ার্ট’ হলে ‘ইলেক্ট্রোকটারি’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তুলে ফেলতে হয়।
আপনার শরীরে আঁচিল দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আঁচিল অপসারণের জন্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।