ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি অসুখ। এটি সব সময়ের জন্য খারাপ নয়। যেমন আপনার স্মৃতিশক্তি একদম নিখুঁত। স্মৃতি দিয়ে ভবিষ্যতের একটা সম্ভাব্য নতুন গল্প সাজাতে হবে। কিন্তু সবই যদি মনে থেকে যায়, মস্তিষ্ক সেগুলো দিয়ে কল্পিত ঘটনা বানাতে হিমশিম খাবে। কারণ, মস্তিষ্ক এই চর্চাটা করে আপনার বিস্মৃতি থেকে। এ ছাড়া খারাপ ঘটনাটিও সে ধরে রাখবে যার কারণে খারাপ লাগা কাজ করবে সারাক্ষণ। তবে ভুলে যাওয়া যে বিপদেরও কারণ এতে কোনো সন্দেহ নেই। মনে রাখাটাই জীবনযাপনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চলুন তাহলে জেনে নিই কী কী করতে হবে।
মনোযোগ রাখুন
কথা বলতে বা কাজ করতে করতে মনোযোগ সরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যেটা আপনি মনে রাখতে চান, সেটা পড়া, শোনা বা করার সময় পুরো মনোযোগ দিন। অন্য কিছু মাথায় এলেও দ্রুত তা ঝেড়ে ফেলে মনোযোগ ফেরান। সে জন্য মনোযোগ দিন রাতের ঘুমে। ঠিকঠাক ঘুম না হলে মনোযোগ ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
সাজিয়ে নিন
অগোছালো কোনো কিছুই মনে রাখা কঠিন। তাই আগে সাজিয়ে নিন। তারপর মনে রাখার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি কোনো সংখ্যা মনে রাখতে চাইছেন, সেটাকে কয়েক ভাগে সাজিয়ে নিন। সাজাতে পারেন তারিখের মতো করে।
আগে বুঝে নিন
পড়াশোনার ক্ষেত্রে আগে বিষয়টা বুঝে নিন। মূল বিষয়বস্তু কী, সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আরও কী কী বলা হয়েছে, সবটাই বুঝে নিন।
খাবারের ভূমিকা
কিছু খাবার আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। যেমন—
- মাছের চর্বি অত্যান্ত উপকারী।
- কফি আমাদের ব্রেনের স্ট্রেস কমাতে ও মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মুডের ওপরও এর ভালো প্রভাব আছে।
- আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রেন সেল এর উন্নতি ও বিষণ্ণ ভাব দূর করে। আদা চা এ ক্ষেত্রে ভালো অপশন।
- মিষ্টিকুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমান খনিজ থাকে, যা ব্রেনের জন্য উপকারী।
- মধুতে থাকা বিভিন্ন যৌগ সরাসরি ভালো স্মৃতিশক্তির জন্য উপকারী।
- কোকোয়া পাউডার ও ডার্ক চকলেট ব্রেনের মনে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, ও ব্রেনের স্ট্রেস দূর করে।
- বাদামে ভিটামিন- ই সহ ব্রেনের জন্য উপকারী ফ্যাট বিদ্যমান।