চার দফা দাবিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মোজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
দাবিগুলো-
১. পদোন্নতি: সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ ৪০০ প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (নন-ক্যাডার) হিসেবে সুপার নিউমারি পদে পদোন্নতি দেওয়া।
২. পদনাম পরিবর্তন: প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদবী ‘উপসহকারী সচিব’, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ‘অতিরিক্ত উপসহকারী সচিব’ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ‘সাচিবিক সহকারী’ করার প্রস্তাব।
৩. নিয়োগবিধি কমিটি বাতিল: নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গঠিত অভিন্ন নিয়োগবিধি কমিটি বাতিলের দাবি।
৪. রেশন ও ভাতা: সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রেশন সুবিধা, সচিবালয় ভাতা ও ৩০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা চালুর দাবি।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় নেতৃবৃন্দ ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’ নামে আবুল কালাম আজাদ (বাদিউল) স্বাক্ষরিত এক ভুয়া বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা একে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যমূলক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন।
নেতারা ‘বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’-এর চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ বি এম আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত কর্মসূচিগুলো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একইসঙ্গে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের কার্যক্রম স্থগিতের প্রজ্ঞাপন’কে যথাযথ সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দেন এবং প্রশাসনের ভেতরে অবস্থানরত ‘ফ্যাসিস্ট দোসরদের’ অপসারণের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল সচিবালয় ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় দাবি-বিরোধী কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী’ আখ্যায়িত করে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘সময়মতো তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে আগামী সপ্তাহে সচিবালয় চত্বরে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।