কাশির সমস্যা সব মানুষেরই হয়ে থাকে। অনেকের আবার একটানা কাশি লেগেই আছে। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে কাশির সমস্যা কমানো সম্ভব। খাবারগুলো আমাদের পরিচিত এবং প্রায় সব বাড়িতেই থাকে। তাই আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ কাশির সমস্যায় ভুগলে এই খাবরগুলো খেতে পারেন—
মধু
মধুতে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ। প্রাচীনকাল থেকে এই মধু ব্যবহার করা হয় ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও কাজ করে। এ ছাড়া এটি কাশি দূর করার পাশাপাশি এবং কাশির কারণে সৃষ্ট গলাব্যথার সমস্যা দূর করতেও কাজ করে।
আদা
আদার অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি হলো, এটি কাশি সারাতে কার্যকরী। আদা প্রাকৃতিক প্রদাহবিরোধী ওষুধের মতো কাজ করে। সেই সঙ্গে এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও ক্যানসারবিরোধীও। গরম পানি, চা কিংবা স্যুপের সঙ্গে কাঁচা আদা খেলে তা কাশি দূর করতে কাজ করে। সেই সঙ্গে এটি সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
রসুন
রসুনকে ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করার প্রচলন অনেক পুরোনো। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট্য শরীরের নানা উপকার করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত রসুন খেলে তা সর্দি ও কাশি হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তাই কাশি হলে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। দ্রুত কাজ করবে।
চিকেন স্যুপ
চিকেন স্যুপ এমনিতেই সুস্বাদু। এটি কিন্তু কাশির সমস্যার ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী। এই খাবার সহজে হজম হয় এবং এতে থাকে প্রয়োজনীয় সব খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যালরি। তাই শরীরকে পর্যাপ্ত অনুপাতে পুষ্টি দিতে কাশি হলে চিকেন স্যুপ খান। এটি শরীরে তরল সরবরাহ করে জ্বর ও কাশি থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে।
কলা
অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা হলো, কলা খেলে ঠান্ডার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আসলে কিন্তু তা নয়। কলা খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দ্রুত দূর হয়। এতে থাকা ফাইবার বাড়ায় হজমশক্তি। সেই সঙ্গে কলার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ক্যালরি শরীরকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। তাই কাশি হলে নিয়মিত কলা খেতে পারেন।