• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দাঁতের ক্ষয়রোধ প্রতিরোধে করণীয় কী


নাইস নূর
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম
দাঁতের ক্ষয়রোধ প্রতিরোধে করণীয় কী

বিভিন্ন কারণে দাঁত ক্ষয় হয়। অনেকের কাছে সমস্যাটা সাধারণ মনে হলেও এর ফলাফল জটিল। তাই সময় থাকতে দাঁতের ক্ষয়রোধ প্রতিরোধ করতে হবে। দাঁত ক্ষত হওয়ার কারণ এবং এর চিকিৎসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ঈষিকা নাজনীন প্রভাষক, ডেন্টাল পাবলিক
হেলথ, এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাইস নূর।

সংবাদ প্রকাশ : দাঁত ক্ষয় হওয়ার প্রধান কারণ কী?

ডা. ঈষিকা নাজনীন : ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষত হবার জন্য অনেক কারণ ভূমিকা পালন করে। এই পদক্ষেপগুলো সাধারণত ঘটে মুখের ব্যাকটেরিয়া চিনিযুক্ত, স্টার্চযুক্ত খাবার এবং পানীয় (ফল, রুটি, সিরিয়াল, সোডা ও জুস) জাতীয় পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এই কার্বোহাইড্রেটগুলোকে অ্যাসিডে রূপান্তর করে। ব্যাকটেরিয়া, অ্যাসিড, খাদ্য এবং লালা মিশে প্লাক তৈরি করে। এই আঠালো পদার্থটি দাঁতকে আবৃত করে থাকে। সঠিক ব্রাশিং এবং ফ্লসিং ছাড়াই, প্ল্যাকের অ্যাসিড দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দাঁতে ক্ষত বা ডেন্টাল ক্যারিজ তৈরি করে।

সংবাদ প্রকাশ : দাঁত ক্ষয় হওয়ার লক্ষণগুলো কী কী?

ডা. ঈষিকা নাজনীন : দাঁতের বাইরের পৃষ্ঠ অর্থাৎ এনামেল পৃষ্ঠে দাঁতের ক্ষয় সাধারণত ব্যথা বা উপসর্গ সৃষ্টি করে না। ডেন্টিন এবং দাঁতের গোড়ার দিকে ক্ষয় অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি লক্ষণগুলো অনুভব করা শুরু করতে পারেন। দাঁতে ক্ষয় হবার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে, গরম বা ঠান্ডা খাবার বা পানীয়ের প্রতি দাঁতের সংবেদনশীলতা। দাঁত ব্যথা বা মুখে ব্যথা। মুখ ফুলে যাওয়া। মাড়ি থেকে রক্তপাত বা মাড়ির রোগের অন্যান্য লক্ষণ। মুখের চারপাশে বা ভেতরে লালভাব। মুখের দুর্গন্ধ।

সংবাদ প্রকাশ : কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

ডা. ঈষিকা নাজনীন : ওপরের লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। বছরে দুবার ডেন্টাল চেকআপ হল ডেন্টাল ক্যারিজ নির্ধারণের সর্বোত্তম উপায় যাতে আপনার ডেন্টিস্ট আপনার দাঁতের বেশির ভাগ অংশ সংরক্ষণ করতে পারেন। আপনার ডাক্তার আপনার দাঁত পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে দাঁত ও মুখগহ্বর পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে আপনাকে দাঁতের এক্স-রে করার পরামর্শও দিতে পারেন।

সংবাদ প্রকাশ : দাঁত ক্ষত হলে করণীয় ও প্রতিরোধ কী?

ডা. ঈষিকা নাজনীন : নিয়মিত ব্রাশিং, ফ্লসিংসহ সঠিক মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি, প্লাক এবং অ্যাসিড থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে যা সাধারণত দাঁতের ক্ষত সৃষ্টি করে। ভালো দাঁত এবং মাড়ি যত্ন নিতে হলে দিনে অন্তত দুবার(সকালে নাশতার পরে এবং রাতে খাবার পরে ঘুমাতে যাবার আগে ) ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। চিনিযুক্ত, স্টার্চযুক্ত খাবার এবং পানীয় কমানো। দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা খাবার এবং প্লাক থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ফ্লসিং করুন। বছরে অন্তত দুবার ডেন্টাল চেকআপ করাতে হবে। আর তারপরও যদি দাঁতে ক্ষত তৈরি হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই রেজিস্টার্ড দন্ত চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দাঁতের ক্ষতের গভীরতা অনুযায়ী চিকিৎসাগুলো হতে পারে ডেন্টাল ফিলিং, রুট ক্যানেল চিকিৎসা, দাঁত অপসারণ এবং অপসারণের পর ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট।

Link copied!