• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে কী করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ১১:৫৩ এএম
মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে কী করবেন

নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য প্রয়োজন। এটা অনেকেরই হয় না। রাতের কোনো এক উদ্ভট সময়ে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু কেন মাঝরাতে ঘুম ভাঙে? এ প্রশ্নের উত্তর রয়েছে চীনের চিকিৎসাবিদ্যায়। ‘চাইনিজ অর্গান বডি ক্লক’ অনুযায়ী, শরীরের একেক অঙ্গের সমস্যার কারণে রাতে একেক সময়ে ঘুম ভেঙে যায়। আসুন জেনে নিই এর কারণ ও উপায়—

কারণ

গলব্লাডার : রাত ১১টা থেকে ১টা গলব্লাডার বা পিত্ত থলির কাজ হলো পিত্তরস উৎপাদন। এতে হজম সহজ হয়। রাত ১১টা থেকে ১টার মাঝে ঘুম ভেঙে গেলে বুঝতে হবে হয় আপনার পিত্তে পাথর আছে, অথবা আপনার চর্বি খাওয়া কমাতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর তেল খেতে হবে। শুধু তাই নয়, অসন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাসের অভাব, ঘৃণা এবং বিতৃষ্ণা মনের মাঝে পুষে রাখলেও এ সময়ে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

বৃহদান্ত্র : ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা ভোরবেলায় শরীর থেকে বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত হয় আপনার বৃহদান্ত্র। এ সময়ে ঘুম ভেঙে যেতে পারে বৃহদান্ত্রের সমস্যার কারণে। দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন বৃদ্ধি, এমনকি কম বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া।

রাত ৯টা থেকে ১১টা এ সময়টায় শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন সিস্টেম নিজেকে সারিয়ে তোলে এবং আমাদের রক্তনালীগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময়ে হুট করে ঘুম ভেঙে যাওয়ার অর্থ হলো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি বা মেটাবোলিজমের কোনো একটা সমস্যা রয়েছে আপনার শরীরে।

যকৃত : রাত ১টা থেকে ৩টা লিভার বা যকৃতের কাজ হলো শরীর থেকে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ দূর করা। এ সময়ে ঘুম ভেঙে যাবার অর্থ হলো আপনার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। আপনার উচিত হবে চা-কফি পান, মদ্যপান এবং ধূমপান কমিয়ে আনা বা বাদ দেওয়া। অতিরিক্ত রাগ, হতাশা এবং অপরাধ বোধ থেকেও এ সময়ে ঘুম ভাঙতে পারে।

ফুসফুস : রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা নতুন দিনের প্রস্তুতি হিসেবে আপনার ফুসফুস এ সময়ে কাজ করতে থাকে। এ সময়ে যদি ঘুম ভেঙে যায় এবং নাক বন্ধ থাকা, কাশি বা হাঁচি হয়, তার মানে আপনার ফুসফুসের যত্ন নেওয়া উচিৎ এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা উচিৎ। দুঃখ এবং শোকের আধিক্য থেকেও এ সময়ে ঘুম ভাঙে অনেকের। শ্বাস-প্রশ্বাসের কিছু ব্যায়াম এ সময়ে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।

প্রতিকার

  • কয়টায় ঘুম ভাঙল, কয়টা অবধি ঘুমাতে চেষ্টা করছেন, এসব হিসাব-নিকাশ চলতে থাকবে আপনার অবচেতন মনের ভিতর। এ সময় ঘড়ি দেখা যাবে না। তাতে মানসিক চাপ বাড়বে। প্রয়োজনে ওয়াশরুমে যান।
  • ঘরে উজ্জ্বল আলো থাকলে নিভিয়ে দিন। মোবাইল ফোন বা কোনো ডিজিটাল পর্দায় চোখ রাখবেন না। ডিজিটাল স্ক্রিনের আলোয় আপনার ঘুম আসতে সময় বেশি লাগবে। ঘুম ভেঙে গেলেই মাথার কাছে রাখা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে এটা-ওটা দেখার অভ্যাস থাকলে বর্জন করুন। ঘুমের সময় মোবাইল ফোন ধারেকাছে রাখাই উচিত নয়।
  • বাইরে থেকে আসা কোনো শব্দের জন্যও ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জানালা বন্ধ করে দিতে পারেন। ফ্যান চালিয়েও নিতে পারেন। ফ্যানের শব্দে অন্য শব্দ ঢাকা পড়ে যাবে।
  • সারাদিনের মানসিক চাপ ঝেরে ফেলুন ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
  • সহজে হজম হয় এমন সব খাবার গ্রহণ করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। পেশির ব্যায়াম করুন এবং ঘুম থেকে উঠেই টয়লেটের কাজ সারুন।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা রাখে এমন কোনো মিউজিক শুনতে পারেন।
Link copied!