• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রসবের পর রক্তক্ষরণ হলে করণীয়


নাইস নূর
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম
প্রসবের পর রক্তক্ষরণ হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় একজন নারী বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়। অনেকের সন্তান প্রসবের পরও শারীরিক কিছু জটিলতা তৈরী হয়। যেমন প্রসবের পর অনেক নারীর রক্তক্ষরণ হয়। তাই প্রয়োজন সচেতনতা। প্রসবের পর রক্তক্ষরণের কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে পরামর্শ দিয়েছেন ডা: আরমানা জেবিন কান্তা।

ডা: আরমানা জেবিন কান্তা বলেন, বিশ্বব্যপী মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা সংক্ষেপে পিপিএইচ (৪-৬ ভাগ)। রোগীর ডেলিভারীর সাথে পিপিএইচ জড়িত।

প্রসবের পরবর্তী সময় থেকে ৪২ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হলে নরমাল ডেলিভারীর পর ৫০০ মি.লি. এর বেশি বা সিজার ডেলিভারীর পর ১০০০ মি.লি এর বেশি রক্তক্ষরণ হলে তাকে পিপিএইচ বা প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ বলে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীর রক্তচাপ এবং পালস বিবেচ্য হবে।

পিপিএইচ সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত। প্রাইমেরী প্রসবের পর থেকে ২৪ ঘন্টা এর মধ্যে হবে। এরপর সেকেন্ডারী ২৪ ঘন্টার পর থেকে ৪২ দিনের অথবা ছয় সপ্তাহের মধ্যে হবে। ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী এই প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণের জন্য মোট মৃত্যুহার ৮৩,১০০ জন।  

প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণের কারণ

  • জরায়ুর নিঃসাড়তা-৭০ ভাগ 
  • আঘাত- ২০ ভাগ 
  • সংরক্ষিত টিস্যু -১০ ভাগ 
  • রক্ত জমাট বাধার অসুবিধা- ১ ভাগ
  • যেহেতু মাতৃমৃত্যুর জন্য এটি একটি অন্যতম প্রধান কারণ সুতরাং এর প্রতিরোধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

গর্ভকুলের অবস্থা ডেলিভারীর আগেই নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মায়েদের নিয়মিত চেকআপের মধ্যে রাখতে হবে। হাসপাতালে ডেলিভারী করাতে হবে কেননা হাসপাতালে ডেলিভারীর তৃতীয় ধাপের সময় যেসব ঔষুধ ব্যবহার করা হয় তা পিপিএইচ এর সম্ভাবনা অনেক অংশে কমিয়ে দেয়। রক্তের গ্রুপ আগে থেকে জেনে সেই গ্রুপের রক্ত দিতে পারবে এমন দুইজনকে ঠিক করে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে এই সময় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসা 
প্রসব পরবর্তী রক্তপাতের প্রাইমেরি পিপিএইচের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে। ঘরে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়। প্রাথমিক ভাবে রক্ত, স্যালাইন এবং কিছু ঔষুধের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়। যদি উন্নতি না হয় সেই ক্ষেত্রে বেলুন ট্যাপেনেড (কনডম) ব্যবহার করা হয়। এরপর উন্নতি না হলে সার্জারি এবং শেষ চেষ্টা  হিসেবে জরায়ু ফেলেও দিতে হতে পারে।
সেকেন্ডারি পিপিএইচের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণের কারণের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে ল্যাপারেস্কাপির প্রয়োজন হতে পারে।

Link copied!