এবারের এসএসসিতে ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে। ‘যে ফল প্রকাশিত হয়েছে, সেটি প্রকৃত ও সত্য। কোনো ধরনের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার জন্য কাউকে বলা হয়নি। সামগ্রিকভাবে এবারের ফলে প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে’, বলেছেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সভাকক্ষে ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এমন তথ্য জানান।
এহসানুল কবির বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, সেটি আমরা বলব না। তবে এখন যে তথ্য দিয়েছি, সেটিই প্রকৃত। যা হয়েছে সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কোনো হাত নেই। আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে, রেজাল্ট হবে সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।’
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, গোঁজামিল ও বাহুল্য এড়িয়ে এবং স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্ব দিয়েই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় ১ লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।