ঘামলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নেমে যায়। তবে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিন্তু স্বাভাবিক নয়। এটি শারীরিক বিভিন্ন রোগের লক্ষণও হতে পারে। আবার অনেকের মুখ ও শরীরের তুলনায় হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ঘাম বেশি হয়। একে হাইপার হাইড্রোসিস বলে। তাই অতিরিক্ত ঘামও যেমন শারীরিক কিছু রোগের লক্ষণ আবার না ঘামলেও শরীরে থাকতে পারে নানা অসুখ। চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ কী ও করণীয় কী—
কারণ
- পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও বেশি ঘাম হতে পারে।
- মসলা, ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার অতিরিক্ত খেলে বেশি ঘাম হতে পারে।
- শারীরিক দুর্বলতা থেকে ঘাম বেশি হয়।
- অতিরিক্ত ধূমপানও ঘামের কারণ হতে পারে।
- কেউ অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে কিংবা রোদে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে
- আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- ব্রোকোলি, পেঁয়াজ, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলেও ঘাম বেশি হতে পারে।
করণীয়
- ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম, বাইকার্বোনেট বেরিয়ে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই পানির সঙ্গে লবণ ও লেবু মিশিয়ে শরবত খেলে ভালো হয়।
- গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন।
- কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান।
- পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
- ভিটামিন- বি১২ এর অভাবে যেহেতু হাইপার হাইড্রোসিস হয়, তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান।
- একবার রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন, থাইরয়েড হয়েছে কি না।