• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

ওজন কমান প্রাকৃতিক উপায়ে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম
ওজন কমান প্রাকৃতিক উপায়ে

অনিয়মিত জীবনধারণের কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন। অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই ওজন কমাতে ভরসা রাখতে পারেন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। জেনে নিন কিছু করণীয়—

গরম পানি
পরিপাক ক্রিয়াকে জাগ্রত করতে ও অতিরিক্ত চর্বি কমাতে প্রতিদিন খাবারের পর গরম পা দিয়ে অন্তত দুবার লেবুর রস খান।

ব্যায়াম
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি এবং শরীরচর্চার জন্য ৪০-৬০ মিনিট ব্যয় করুন।

দিনের আলোয় খাবার
আমরা সাধারণত দুপুরবেলা ভারী খাবার খেয়ে থাকি। তাই যদি দিনের আলো থাকাকালীন আপনার আহারের কাজটি সম্পন্ন করেন; তাহলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। কারণ আমাদের লিভার মধ্যরাতে খাবারের হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

তাই যদি রাতের বেলা অতিরিক্ত খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা হয়, তাহলে সেটি পাকস্থলীর জন্য অতিরিক্ত হয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। তাই আপনি যখন রাতে খাওয়া কমিয়ে দেবেন, তখন আপনার অতিরিক্ত ওজনও কমতে শুরু করবে।

মৌসুমের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া
মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি খেলে দেহ সহজেই পুষ্টিকর উপাদানগুলো পায়। যা প্রাকৃতিকভাবে হজমে সহায়ক। গ্রীষ্মকালে দেহ শীতল ও উজ্জীবিত রাখতে উচ্চ-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ফল এবং তাজা শাকসবজি খান। এই বসন্তে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী ফল, নতুন সবুজ শাক খান। যা শীতকালীন আমেজ কাটাতে আপনার শরীরকে উপযুক্ত করে তুলবে। প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদ উপায়ে আপনাকে সঠিক কৌশলে খাদ্যাভ্যাস পরিচালনা করতে সহায়তা করলে বাড়তি মেদ কমানোসহ দেহের সজীবতা বজায় রাখতেও সহায়তা করবে।

তিন বেলা খাবার 
কোনো রকম জলখাবার বা স্ন্যাকস বাদ দিয়ে তিন বেলা খাবার গ্রহণ করুন। খাদ্য আমাদের দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। যখন দেহে পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার যায়, তখন সেটি ফ্যাটে পরিণত হয়।

ছয় স্বাদ একসাথে করুন
আয়ুর্বেদিক ডায়েট অনুসারে, ৬টি প্রধান স্বাদের খাবার খেতে হবে। মিষ্টি, টক, নোনতা, কড়া বা তীব্র তেঁতো এবং কষযুক্ত (আমলকি, মূলা, শসা, ডালিম ইত্যাদি)। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ৬ স্বাদ একত্রিত করুন। মিষ্টি, টক এবং নোনতা স্বাদের খাদ্যগুলো পুষ্টিকর খাদ্য। যা প্রোটিন তৈরি করে। তবে মনে রাখতে হবে যেকোনো খাবার যেন অতিরিক্ত না খাওয়া হয়ে যায়। রান্না করা সবজি খান প্রচুর পরিমাণে। বেগুন, গোলমরিচ, টমেটো এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন ধরণের বাদাম এবং বীজ খান।

চিনি, অ্যালকোহল এবং তামাকের মতো আসক্তিযুক্ত পণ্যগুলি এড়িয়ে চলুন। কাঁচা, হিমায়িত বা অত্যন্ত ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন

সূর্যকে অনুসরণ
প্রতিদিন গায়ে রোদ লাগান। আপনার শারীরে একটি বড় হরমোনাল-ভারসাম্য তৈরি করতে সূর্যাস্তের সময় বিছানায় যান এবং সূর্যোদয়ের সঙ্গে জেগে উঠুন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে আপনার দেহ স্বাভাবিকভাবে ধীরগতির হয়ে যায়। এরফলে শরীর ভার হয়ে। রাত ১০টার আগে বিছানায় যান।

প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন। এতে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ হবে দ্রুত। ফলে পরবর্তী দিনের জন্য পুনরায় শরীর অ্যানার্জি পাবে। এভাবে আপনার দৈনিক জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলেই ওজন কমবে দ্রুত।

খাওয়ার পর হাঁটা
প্রতিবেলা খাবারের পরে হাঁটাহাঁটি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হজমে সহায়তা করে। দুপুরের খাবার শেষে মাঝারি গতিতে ১০-২০ মিনিট হাঁটা যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মেডিটেশন বা ধ্যান
সকালে অন্তত ৫-১০ মিনিট বা তারও বেশি সময়ের জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান করুন। ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ স্ট্রেস। মেডিটেশন বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মনে শান্তি আসে। এই অভ্যাসটি আপনাকে ঠান্ডা মাথায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেও সহায়তা করবে।
 

Link copied!