• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

হটফ্ল্যাশ সম্পর্কে জানুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩, ১১:৫৩ এএম
হটফ্ল্যাশ সম্পর্কে জানুন

ঋতুস্রাব নারী দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একটা নির্দিষ্ট বয়সের (৪৫ থেকে ৫৫ বছর) পর ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একেই মেনোপজ বলে। যদি কারো ১২ মাসের বেশি সময় ধরে ঋতুস্রাব /মাসিক বন্ধ থাকে তাহলেই ধরে নিতে হবে এটি মেনোপজ। মেনোপজের আগে ও পরে শরীরে যখন তখন গরম হল্কা অনুভব করেন; তাকে হট ফ্ল্যাশ বলে।

লক্ষণ

  • বেশিরভাগ সময় শরীরের উপরিভাগ ঘামতে থাকে।
  • শরীরে তাপমাত্রা হুট করে বেড়ে যায় এবং হাইপোথ্যালামাস তা শীতল করতে তৎপর হয়। তখন ত্বকের নিচের শিরায় রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। সে কারণে ওই সময়টায় চেহারা ও ঘাড় দেখায় রক্তাভ উজ্জ্বল। হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেছে বলেও মনে হতে পারে।
  • সাধারণত হট ফ্ল্যাশের সঙ্গে নারী নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে তা অতিরিক্ত অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।

কিছু প্রতিকার

  • প্রতিদিনের জীবন যাপনে কিছুটা মনোযোগ দিলে হট ফ্ল্যাশের কারণে শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তি কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়।
  • যদি হট ফ্ল্যাশের কারণে শরীর বেশি খারাপ লাগে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত অ্যাস্ট্রোজেন এবং অ্যাস্ট্রোজেন-প্রোজেসটোজেন হরমোন থেরাপি দেওয়া হয়।
  • প্রোজেসটোজেনের বদলে বাজেডোক্সিফেন দিয়েও চিকিৎসা করা হয়। জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধেও বাজেডোক্সিফেন সহায়ক।
  • যারা হরমোন থেরাপি নিতে চান না, অথবা হরমোন চিকিৎসায় যাদের স্বাস্থ্য জটিলতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, তারা নন-হরমোন ওষুধও নিতে পারেন। কিছু ওষুধ রয়েছে যা এ সময় উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, ভালো ঘুমের জন্য কাজ করে।
  • হট ফ্ল্যাশে স্বস্তি পেতে বিশেষ কোনো ডায়েট প্ল্যান কার্যকর প্রমাণিত হয়নি বলে জানাচ্ছে মেনোপজ ডটঅর্গ। সাপ্লিমেন্ট ও হারবাল ওষুধ সেবনে প্রভাব কম-বেশি হতে পারে। তাই সব সময় চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে মনোপজ ডটঅর্গ।
Link copied!