• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অকাল গর্ভপাতের লক্ষণ জেনে নিন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৫:০০ পিএম
অকাল গর্ভপাতের লক্ষণ জেনে নিন

মা হওয়ার ইচ্ছা প্রাকৃতিকভাবেই প্রতিটি নারীর মধ্যে থাকে। একজন মায়ের কাছে সবচেয়ে প্রিয় এই সন্তানকে ধারণ করা থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়টা একজন নারীর জন্য কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। গর্ভের শিশুটি সুস্থ আছে কি না, জানাটাও জরুরি। কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখলে বোঝা যায় অনাগত শিশুটি ঝুঁকিতে রয়েছে কি না। ঝুঁকির কারণ ও লক্ষণ জানা থাকলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সহজ হবে। কীভাবে বুঝবেন ঝুঁকিতে আছে—

লক্ষণ
 

গঠন

সব থেকে যে কারণে বেশি গর্ভপাত হয়ে থাকে, তা হলো শুক্রাণু বা ডিম্বাণুর ক্রোমোজমাল বা গঠনগত কোনো ত্রুটি।
রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, মৃগীরোগ, থাইরয়েড থাকলেও বাড়তে পারে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি। তাই আপনার যদি এসব আগেই থেকে থাকে, তবে সন্তান ধারণের আগে ও পরে সতর্ক থাকুন।

শিশুর নড়চড়া 
বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পার হওয়ার পরে যদি গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে যায় কিংবা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে অনাগত শিশু ও মা ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে।

হার্ট রেট
বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে নিয়মিত গর্ভস্থ শিশুর হার্টবিট পরীক্ষা করাতে হবে। ভ্রূণের হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করে যদি কোনো ঝুঁকি থেকে থাকে, তাহলে আপনার চিকিৎসক অবশ্যই সেই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর হার্টবিট প্রতি মিনিটে ১১০ থেকে ১৬০ বিটের মধ্যে থাকে। তাই গর্ভবতী হলে নিয়মিত এই পরীক্ষা করান।

ওজন বৃদ্ধি না হলে
হবু মায়েদের ওজন বেড়ে যাওয়াকে হেলদি প্রেগন্যান্সি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গর্ভাবস্থার ১২-১৫ সপ্তাহের কাছাকাছি ওজন বাড়লে ভালো বলে মনে করেন। এ কারণেই চিকিৎসকেরা নিয়মিত গর্ভবতীর ওজন পরীক্ষা করেন। এ সময় হবু মায়ের পেটের আকারও স্ফীত হতে থাকবে। যদি এ রকম কিছু না হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।

পড়ে যাওয়া
গর্ভাবস্থায় পড়ে গিয়ে পেটে প্রচণ্ড আঘাত পেলে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের কারণে গর্ভপাত হতে পারে।

দুশ্চিন্তা
গর্ভাবস্থায় মা যদি প্রচণ্ড মানসিক দুশ্চিন্তা বা কষ্টে থাকেন। 

Link copied!