• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ফোড়ার ব্যথা ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে কমাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম
ফোড়ার ব্যথা ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে কমাবেন

বর্ষাকালে ফোড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে ফোড়া হয়ে থাকে। শরীরের কোনো অঙ্গে বাইরে থেকে জীবাণু ঢুকেও ফোড়া সৃষ্টি করতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ফোড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফোড়া হলো একটি অঙ্গ বা টিস্যুর মধ্যে তৈরি হওয়া বা জমে থাকা পুঁজের গঠন। ফোড়া হলে প্রচণ্ড ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়। এসব ব্যথা থেকে ঘরোয়াভাবে নিরাময়ের কিছু উপায় আছে। চলুন জেনে নিই।

গরম ভাপ
ফোড়ার স্থানে গরম ভাপ নিলে ওই স্থানে রক্ত সঞ্চারনের পরিমাণ বাড়বে। ফোড়ার ব্যথার শুরু থেকেই গরম ভাপ নেওয়া শুরু করলে দ্রুত ব্যথা কমবে। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে ৩-৪ বার ফোড়ার স্থানে গরম ভাপ নিন।

হলুদগুঁড়া
এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এসব বৈশিষ্ট্য ফোড়ার ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। এ জন্য এক চা-চামচ হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে পানি বা সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে ফোড়ার স্থানে ব্যবহার করলে উপকার মিলবে। প্রতিদিন অন্তত তিনবার এই কাজটি করুন।

ইপসোম লবণ
এই লবণের কার্যকারিতা অনেক। ফোড়ার ব্যথা এবং এটি শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে লবণ। ফোড়ার পুঁজ শুকিয়ে নেয় ইপসোম লবণ। এ জন্য গরম পানিতে ইপসোম লবণ মিশিয়ে ফোড়ার স্থানে কটনপ্যাডের সাহায্যে ব্যবহার করুন। দিনে অন্তত তিনবার করে ২০ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে এই লবণ পানি ব্যবহার করুন।

ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েলে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ফোড়া সারাতে দুর্দান্ত কাজ করে। ফোড়া না পাকা অব্দি প্রতিদিন এই তেল ব্যবহার করুন। ব্যথামুক্ত থাকবেন এবং দ্রুত পেকে ফোড়ার ঘা শুকিয়ে যাবে।

নিম তেল
এই তেলে অ্যান্টি-সেপটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রয়েছে, যা ফোড়াসহ ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। দিনে ৩-৪ বার নিম তেল ফোড়ার স্থানে ব্যবহার করলে ব্যথাও কমবে এবং ঘা শুকাবে দ্রুত।

Link copied!